অসুস্থ মা, রোদ-বৃষ্টি-ঝড় উপেক্ষা করে বাড়ি থেকে ২০০ মিটার দূর থেকে জল আনেন। কিন্তু মা’র শরীর ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। জল আনতে যেতে কষ্ট হচ্ছিল। এই কষ্ট মেনে নিতে না পারায় বাড়িতেই ১৫ ফুট লম্বা কুয়া খুঁড়লেন মেয়ে। এ ঘটনা ভারতের বর্ধমানে। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।
জানা যায়, বর্ধমানের ২৪ বছরের ববিতা সোরেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করার পর বি.এড কোর্স করছেন। টানাটানির সংসারে ছেলেবেলা থেকে মা’কে দেখতেন, রোদ-বৃষ্টি-ঝড় উপেক্ষা করে বাড়ি থেকে ২০০ মিটার দূরে জল আনতে যাচ্ছেন। বর্তমানে মা নীনা সোরেন রক্তাল্পতায় ভুগছেন এবং শরীর অত্যন্ত দুর্বল। জল আনতে তার কষ্ট হয়। সেজন্য একটা স্থায়ী সমাধানের উপায় হিসেবে ১৫ ফুট লম্বা একটি কুয়া খুঁড়ে ফেলেন ববিতা। যদিও এই কাজ শুরু করেন ২০১৯ সালে। হোস্টেল থেকে ছুটিতে এসে কুয়া খুঁড়তেন। পরে করোনাভাইরাসের এই লকডাউনে সুযোগ কাজে লাগায় ববিতা।
ববিতা বলেন, ‘আমার বাবা এবং ভাই শক্তভাবে দড়ি বেঁধে রাখত। ওটার সাহায্যে আমি রোজ নীচে নামতাম এবং ঘরের কাজের ফাঁকে যে সময়টুকু পেতাম, সেই সময়েই কুয়া খুঁড়তাম। দু’তিন সপ্তাহ ধরে সেই কাজটা করার পর আমি পানির সন্ধান পাই।
এদিকে পানির সন্ধান পাওয়ার পর ববিতার কীর্তির কথা পাড়ায় জানাজানি হয়। পরে প্রশাসন কুয়ার দৈর্ঘ্য ৩০ ফুট খুঁড়ে দেবে বলে ঘোষণা দেয়।
টিবিজেড/
Leave a reply