কুড়িগ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে চার শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু

|

কুড়িগ্রামে নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত

ফাইল ছবি

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামে গত তিনদিনে চার উপজেলায় বন্যার পানিতে ডুবে চার শিশুসহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপরে সদর উপজেলার মোগলবাসা এলাকার কানাই রায়ের দুই বছরের কন্যা শিশু কথা রায় বানের পানিতে ডুবে মারা যায়।

এর আগে ২৮ জুন রোববার সকালে বানের পানিতে পড়ে চিলমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের কড়াই বরিশাল গ্রামের জাহেদুল ইসলামের পুত্র শান্ত ইসলাম (৭) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়।

পরিবারের লোকজন জানায়, শান্ত কলার ভেলায় করে ঘুরে বেড়াতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যায়। একই দিনে একই উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের বয়লার পটল গ্রামের ৫৫ বছরের জামাল উদ্দিন নামের একজন বন্যার পানিতে ডুবে মারা যায়।

সোমবার ২৯ জুন নাগেশ্বরী উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া গ্রামের আমীর হোসেনের পুত্র বেলাল হোসেন (৮) বন্যার পানিতে ডুবে মারা যায়। বাড়ির পাশে দোকান থেকে বিস্কুট কিনতে গিয়ে রাস্তার পাশে বন্যার কারণে সৃষ্টি হওয়া গর্তে পড়ে তার মৃত্যু হয়।

মঙ্গলবার ৩০ জুন উলিপুর মারা যায় উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের জানজায়গির গ্রামের সাইফুল ইসলামের পুত্র মোস্তাকিম (১৪মাস)। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নিজেদের ঘরে বন্যার পানিতে পড়ে শিশুটির মৃত্যু হয়।

কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন কার্য্যালয় বন্যার পানিতে ডুবে চার শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এদিকে নদ-নদীর পানি সামান্য কমলেও এখনো প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে বন্যার সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। উচু জায়গা এবং স্কুলে আশ্রয় নেয়া মানুষ বাড়িতে ফিরতে পারেনি। প্লাবিত এলাকায় খাবার, বিশুদ্ধ পানি, জ্বালানী ও গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply