কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামে বন্যার পানিতে পড়ে ৩টি উপজেলায় ৩ শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আর গত জুন মাসেই মোট ৭ শিশুর পানিতে পড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো।
চিলমারী উপজেলায় সদর ইউনিয়নের কড়াই বরিশাল গ্রামের জাহেদুল ইসলামের পুত্র শান্ত ইসলাম (৭) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। নিহত শান্ত ২৮ জুন রোববার সকালে কলার ভেলায় করে ঘুরে বেড়াতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যায়।
সোমবার ২৯ জুন মৃত্যুবরণ করে নাগেশ্বরী উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া গ্রামের আমীর হোসেনের পুত্র বেলাল হোসেন (৮)। বাড়ির পাশে দোকান থেকে বিস্কুট কিনতে গিয়ে রাস্তার পাশে বন্যার কারণে ভেঙ্গে যাওয়া গর্তে পড়ে তার মৃত্যু হয়।
মঙ্গলবার ৩০ জুন উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের জানজায়গির গ্রামের সাইফুল ইসলামের পুত্র মোস্তাকিমের (১৪মাস) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নিজেদের ঘরে বন্যার পানিতে পড়ে মৃত্যু হয়।
এছাড়াও অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৩ জুন শনিবার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভোটহাট গ্রামে শামসুল হকের ১৪ মাসের পুত্র সন্তান ফাহাদ হোসেন বাড়ির পুকুরের পানিতে পড়ে মারা যায়। একই দিনে এই উপজেলার সোনাহাট ইউনিয়নের সোনাহাট গ্রামের বাসিন্দা খয়বর আলীর পুত্র টুটুল মিয়া (১০) বেড়াতে গিয়ে পুকুরের পানিতে পড়ে মারা যায়।
শনিবার ৬ জুন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নে ব্রহ্মপূত্র নদে পড়ে গিয়ে খাদিমুল ইসলাম (৩) বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়। নয়ানীপাড়ার বাসিন্দার জব্বার আলীর সন্তান সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ি সংলগ্ন নদীর তীরে যায়। এরপর ৮টার দিকে সিরিয়াল শ্যালো নৌকার মাঝিরা শিশুটিকে ভাসতে দেখে এলাকাবাসীকে খবর দেয়। পরে স্থানীয়রা শিশুটিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।
রবিবার ৭ জুন উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ খাদিজা খাতুন (১২) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল। দুপুরে নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয় মেয়েটি। সে হাতিয়া ইউনিয়নের চরগুজিমারী গ্রামের জয়নাল হোসেনের কন্যা।
সিভিল সার্জন ডা: হাবিবুর রহমান বন্যার পানিতে ডুবে তিন দিনে তিন শিশুর মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
Leave a reply