স্থানীয় সংক্রমণ নেই প্রায় দেড় মাস। তারপরও বিদেশ থেকে আগতদের মাধ্যমে বিস্তার ঠেকাতে বাড়তি সতর্কতা থাইল্যান্ডে। এটিকে দ্বিতীয় দফায় করোনা বিস্তার ঠেকাতে বিশেষ পদক্ষেপ হিসেবেই নিয়েছে থাই সরকার। বিমানবন্দরেই যাত্রীদের নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে দেশটি। রাজধানী ব্যাংককে ব্যস্ততম সুবর্নভূমি বিমানবন্দরে বসানো হয়েছে পিসিআর ল্যাব। যেখানে দৈনিক ৮০টি নমুনা পরীক্ষা সম্ভব। ফলাফল মেলে মাত্র দেড় ঘণ্টার মধ্যেই।
বাধ্যতামূলক পরীক্ষার আওতায় রয়েছেন কূটনীতিক, সরকারি অতিথি ও বিদেশে বিনিয়োগকারীরা। এর বাইরে দেশটিতে বৈধ চাকরিজীবী, বসবাসের অনুমতিপ্রাপ্ত, থাই নাগরিকের পরিবার, শিক্ষার্থী, কিংবা চিকিৎসাসেবা নিতে আসা সবাইকেই পরীক্ষা ছাড়া থাকতে হবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে। তবে, শিগগিরই সব যাত্রীকে এ প্রকল্পের আওতায় আনার পরিকল্পনা থাই সরকারের।
পোর্ট হেলথ ডিভিশনের পরিচালক সুবিচ থানমাপালো জানান, মূলত দুই ধরনের যাত্রীদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। প্রথম দলে কূটনীতিক, সরকারি অতিথি, অন্য দেশ বা সংস্থার প্রতিনিধিরা। আরেক দলে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফলাফল নেগেটিভ হলে কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না। পজেটিভ হলেও থাকতে হবে না কোয়ারেন্টাইনে। তবে মানতে হবে কিছু বিধিনিষেধ।
তার মতে, পজেটিভ ব্যক্তিরা গণপরিবহন ব্যবহার করতে পারবে না। সরকার নির্ধারিত হোটেলে থেকে নির্দিষ্ট গাড়ি ব্যবহার করবেন। সার্বক্ষণিক দু’জন মেডিকেল স্টাফ তাদের সাথে থাকবেন বলেও জানান থানমাপালো।
সাধারণ পর্যটকদেরও বিমানবন্দরে নমুনা পরীক্ষার আওতায় আনার কাজ করছে থাই সরকার। দেশের বাকি ৬টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও পিসিআর ল্যাব স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।
এদিকে, বিদেশি ভ্রমণকারীদের জন্য সীমিত আকারে উন্মুক্ত হয়েছে থাইল্যান্ডের দরজা। চলতি মাস থেকে দৈনিক দুইশ মানুষ প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছে দেশটিতে।
Leave a reply