মরণঘাতী ক্যান্সারের কাছে হার মেনে অবশেষে আজ সোমবার সন্ধ্যায় পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যান জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী এন্ড্রু কিশোর।
এদিকে, জনপ্রিয় এই শিল্পীর মৃত্যুর খবর প্রচার হওয়ার পরই রাজশাহীর মহিষবাথানে এন্ড্রু কিশোরের বোন ডা. শিখা বিশ্বাসের বাড়িতে তার গুণমুগ্ধ অসংখ্য ভক্ত। এসময় আবেগাপ্লুতও হয়ে পড়েন তারা।
এর আগে, শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় আইসিইউতে রাখা হয়েছিল আটবার জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোরকে।
দেশে ফিরে, ক্যান্সার চিকিৎসক দুলাভাই ডা. প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাস ও বোন ডা. শিখা বিশ্বাসের ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সোমবার অচেতন অবস্থায় ছিলেন এন্ড্রু কিশোর। গতকাল থেকে তার কথা বন্ধ।
১৯৭৭ সালে আলম খানের সুরে ‘মেইল ট্রেন’ চলচ্চিত্রে ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তাঁর কেউ’ গানের মধ্য দিয়ে এন্ড্রু কিশোরের চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক–যাত্রা শুরু হয়। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। এন্ড্রু কিশোরের খুব জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যেখানে’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম গান’, ‘ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘পড়ে না চোখের পলক’, ‘পদ্মপাতার পানি’, ‘ওগো বিদেশিনী’, ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা’, ‘আমি চিরকাল প্রেমের কাঙ্গাল’ প্রভৃতি।
Leave a reply