হাসপাতাল পরিচালনার জন্য লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকা, টেস্ট না করেই করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেয়াসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে সিলগালা করা হয়েছে রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের প্রধান কার্যালয়।
তবে সিলগালা করার পূর্বে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
মঙ্গলবার বিকেলে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে পরিচালিত এক অভিযানে সিলগালা করা হয় প্রতিষ্ঠানটি।
অভিযান শেষে গণমাধ্যমেক ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার বলেন, রিজেন্ট গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে সেখানেও অনুমোদনহীন টেস্ট কিট ও বেশ কিছু ভুয়া রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এজন্য রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের প্রধান কার্যালয় সিলগালা করা হয়েছে।
র্যাব-১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শফিউল্লাহ বুলবুল বলেন, আমরা হাসপাতালটির মিরপুর ও উত্তরা শাখায় অভিযান চালিয়েছি। উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরে হাসপাতালটির কাছের একটি ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় তাদের অফিস। আমরা সেখান থেকে ডকুমেন্টস উদ্ধার করেছি। তাদের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ। এছাড়া টেস্ট না করে করোনা রোগীদের পজিটিভ ও নেগেটিভ রিপোর্ট দেয়া হতো।
এসব অনিয়মের সঙ্গে হাসপাতালটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদই জড়িত বলে জানান র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। তিনি বলেন, চেয়ারম্যান নিজেই এসব ডিল করেছেন। হাসপাতালটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুদসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এর আগে সোমবার বিকালে রাজধানীর উত্তরা ও মিরপুরের রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে হাসপাতালটির লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ, করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট প্রদানসহ সরকারের সাথে চুক্তি মোতাবেক করোনা রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়ার কথা থাকার পরও করোনা টেস্ট ও ভর্তি রোগীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা নেয়ার প্রমাণ পায় র্যাব।
Leave a reply