নভেল করোনাভাইরাস নিয়ে চীনের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই তথ্য গোপনের অভিযোগ জানিয়ে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে ডিসেম্বর নয়, করোনার কথা অনেক আগে থেকেই জানত চীন-এমন আরও অনেক বিস্ফোরক তথ্য দিয়েছেন ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ড. লি মেং ইয়াং। শুধু তাই নয়, চীন গুরুত্বপূর্ণ গবেষাণায় করোনা প্রতিরোধে ভূমিকা নিতে পারত। কিন্তু তাতে পাত্তা দেয়নি নামজাদা বিশেষজ্ঞরা বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
লি-মেং ইয়ান হংকংয়ের স্কুল অব পাবলিক হেলথের ভাইরোলজি ও ইমিউনোলজি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ। প্রাণনাশের হুমকিতে হংকংয়ের এ ভাইরাস বিশেষজ্ঞ এখন নিজের দেশ ছেড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজের দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ডা. লি দাবি করেছেন, অনেক আগেই তিনি এই ভাইরাসের বিষয়ে তার প্রতিষ্ঠানের শীর্ষকর্তাকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু এর পরেই তার মতো ‘বিদেশিদের’ কাজ বন্ধ করে দেয় চীন। হংকংয়ের বাসিন্দা হয়েও কাজ চালিয়ে যাওয়ার অধিকার ছিল না তার।
চীনের পরিস্থিতি সম্পর্কে বিধ্বংসী তথ্য দিচ্ছেন লি। তার কথায়, বহু রোগীই ঠিক মতো চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছিল না। আমাদের চুপ করিয়ে রাখা হতো। মাস্ক পরে থাকতে হতো শুধু।
লি-এর আরও অভিযোগ, এ গোটা ঘটনাই জানতেন হু-এর অনুমোদিত গবেষণাগারের প্রধান প্রফেসর মালিক পেইরিস। পেইরিস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
যুক্তরাষ্ট্রের ফক্স নিউজকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে ভাইরোলজিস্ট লি-মেং ইয়ান দাবি করেন, উহান থেকে ভাইরাস সংক্রমণের খবর ছড়িয়ে পড়ার অনেক আগেই করোনা নিয়ে তিনি গবেষণা শুরু করেছিলেন।
ইয়ানের কথা অনুযায়ী, হংকংয়ের বিশেষ বায়োসেফটি ল্যাবে তিনি এ নতুন ভাইরাস নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছিলেন। বুঝতে পেরেছিলেন, এই ভাইরাল স্ট্রেন অনেক বেশি প্রাণঘাতী। কিন্তু গবেষণার মাঝপথেই একের পর এক হুমকি ও ফোন আসতে থাকে। এমনকি তার ব্যক্তিগত তথ্যে নজরদারি শুরু হয়। সুপারভাইজারকে জানালে তিনিও বলেন, ‘রেডলাইন ছুঁতে যাবেন না’। পরে ইয়ান পরিবার-পরিজন, বন্ধুবান্ধব রেখে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে বাধ্য হন।
Leave a reply