কোভিড নাইটটিনকে শুরু থেকেই চীনা ভাইরাস হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়ে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার যুক্তরাষ্ট্রে পরীক্ষাগারগুলোয় জীবাণু বোমা তৈরি হচ্ছে কি না- তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বেইজিং।
চীনের অস্ত্রনিয়ন্ত্রণ বিভাগ বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের বায়োলজিক্যাল ল্যাবগুলোতে কী ধরনের কার্যক্রম চলে সেই সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই কারও। তাই বায়োলজিকাল উয়েপনস কনভেনশন চুক্তি অনুযায়ী স্বচ্ছতা প্রয়োজন। একইসাথে, জীবাণু অস্ত্র উৎপাদন ও পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধে বায়োলজিক্যাল ওয়েপনস কনভেনশন চুক্তি মেনে চলার তাগিদ দেশটির।
চীনের অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিভাগের মহাপরিচালক ফু কং বলেন, নিজেদের ল্যাবগুলোর কার্যক্রম সম্পর্কে আরও স্বচ্ছতা প্রকাশ করতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে। এ বিষয়ে এরই মধ্যে আলোচনা এবং জবাবদিহিতার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে আবেদন করা হয়েছে। যেন সহজেই মার্কিনীদের পরীক্ষাগার সম্পর্কে যেকোনো প্রকার সন্দেহের পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায়।
যদিও মহামারি রোধে ভাইরাসটি উৎপত্তি কোথায় সেই তথ্য খুব বেশি সহায়ক হবে না বলে দাবি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের। তারা বলছেন, ভাইরাসটি কোনো প্রাণী থেকে ছড়িয়েছে কিনা সেই তথ্য বের করাটা জরুরি।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক টম জেফারসন বলেন, ভাইরাসটির উৎপত্তি কোথায় তা জানা ততটা জরুরি নয়। কারণ শেষ ১০টি ইনফ্লুয়েঞ্জা সম্পর্কে লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন অনেকগুলো মহামারি আকার ধারণ করেনি। তবে নির্দিষ্ট কোন প্রাণী বা কোন মাধ্যম থেকে এটি ছড়িয়েছে সে বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা পাওয়াই হবে গবেষকদের অন্যতম প্রধান কাজ।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন, জীবাণু অস্ত্রের মাধ্যমে পুরো মানবসভ্যতাকে ধ্বংস বা বিলুপ্ত করা সম্ভব। তারপরও অভিযোগ রয়েছে গোপনে বিভিন্ন দেশের ল্যাবে তৈরি হচ্ছে জীবাণু অস্ত্র।
Leave a reply