স্বভাবে নাকি তারকা ফুটবলার লিওনেল মেসির মতোই শান্তশিষ্ট। তাই শখ করে, তার নাম দেয়া হয়েছে মেসি টু। এবারের কোরবানির পশুর হাটে তুলতে ষাঁড়টিকে লালনপালন করেছেন কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের ধূলঝুঁড়ি গ্রামের খামারি দুলাল মিয়া। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে ষাঁড়টিকে মোটাতাজা করেন তিনি। দেয়া হয়নি স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ।
এই ‘মেসি টু’ দিয়েই কোরবানির হাটে বাজিমাত করতে চান এই খামারি। ৩০ মণ ওজনের বিশাল ষাঁড়টিকে দেখতে খামারে ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা।
খামারি দুলাল মিয়া বলেন, গরুটি শান্তশিষ্ট স্বভাবের। একে আমরা সব প্রাকৃতিক খাবার খাইয়েছি। গমের গুড়া, ভুট্টার গুড়া, ভুসি, মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টি আলু এসব খাবার খাইয়েছি।
তিনি আরও জানান, খরচ অনুযায়ী এই গরুটির মূল্য হওয়ার কথা ২৫ লাখ টাকা। তবে করোনা পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে আমরা ২০ লাখ টাকা হলেই এটিকে বিক্রি করে দেবো।
ষাঁড়টি বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপনও দিয়েছেন খামারি। তা রীতিমত ভাইরাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছে দর্শনার্থীরা। একজন দর্শনার্থী জানালেন, আমি ফেসবুকে গরুটির ছবি দেখে এখানে এসেছি। খামারে প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে এত বড় গরু আমি আর দেখিনি।
কিশোরগঞ্জ হোসেনপুরের প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবদুল মান্নান জানান, দেশীয় জাতের ষাঁড়টিকে সম্পূর্ণ দেশীয় খাবারই দেয়া হয়েছে। কোনো ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক, স্টেরয়েড জাতীয় ট্যাবলেট দেয়া হয়নি।
আলোচিত মেসি-টু শেষ পর্যন্ত কত টাকায় বিক্রি হয় সেটিই এখন দেখার বিষয়।
Leave a reply