অধ্যাপক এমাজউদ্দীনের প্রথম জানাজা সম্পন্ন, দাফন বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে

|

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রয়াত অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদের দুটি জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার বাদ জুমা এমাজউদ্দীন আহমদের বাসাসংলগ্ন কাঁটাবন মসজিদে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বাদ আসর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে মিরপুরে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তার স্ত্রী সেলিনা আহমদের কবরে দাফন করা হবে।

তার মৃত্যুর খবরে এলিফ্যান্ট রোডের বাসায় ভিড় করেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ।

অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের রাজনীতি, পররাষ্ট্রনীতিসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর রাষ্ট্রব্যবস্থা নিয়ে নানা গবেষণা করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। তার দীর্ঘ কর্মজীবনে শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান এবং সৃজনশীল লেখার জন্য দেশ-বিদেশে বিশেষভাবে সম্মানিত হয়েছেন। ১৯৯২ সালে তিনি একুশে পদকে ভূষিত হন। এ ছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বহু পুরস্কার-সম্মাননা অর্জন করেন এই শিক্ষাবিদ।

১৯৩২ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন ড. এমাজউদ্দীন। ১৯৪৮ সালে অবিভক্ত মালদার গোলাপগঞ্জ হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাস করেন। এরপর রাজশাহী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পাস করেন। স্নাতকে তিনি প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়েছিলেন। এরপর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে। সেখান থেকে ১৯৫৪ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। দুটি কলেজে অধ্যক্ষের দায়িত্বও পালন করেছেন। এরই ফাঁকে ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর করেন।

প্রায় আড়াই দশক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। পাশাপাশি পালন করেছেন প্রতিটি প্রশাসনিক দায়িত্বও। ছিলেন বিভাগীয় প্রধান, মুহসীন হলের প্রভোস্ট, প্রক্টর, উপ-উপাচার্য ও সবশেষে উপাচার্য। ১৯৯২ সালের ১ নভেম্বর থেকে ১৯৯৬ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ছয় বছরের কর্মবিরতি শেষে ২০০২ সালে যোগ দেন ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভের উপাচার্য পদে।

অধ্যাপনার পাশাপাশি লেখালেখির জন্যও এমাজউদ্দীন আহমদ খুব পরিচিত। ইংরেজি-বাংলা মিলিয়ে লিখেছেন ৫০টির বেশি বই। নিয়মিত কলাম লিখতেন তিনি। জাতিসংঘের ৪১তম অধিবেশনে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা জার্নালে তার প্রকাশিত গবেষণামূলক প্রবন্ধের সংখ্যা শতাধিক।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply