ফেনী প্রতিনিধি:
ফেনী শহরের পাটোয়ারী বাড়ির একটি গরুর খামারের কর্মচারী সাগরকে গলাকেটে করে হত্যা করেছে প্রেমিকাসহ ৩ জনে। ঘটনার ৫০ দিন পর হত্যার রহস্য উদঘাটন করে জেলা ডিবি পুলিশ।
পুলিশের দাবি, পরকীয়ার জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করেছে আসামিরা। গত ৩০ মে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আসামিরা হচ্ছে প্রেমিকা খালেদা আক্তার বৃষ্টি, তার স্বামী নয়ন, ভাসুর রাজন।
এ ঘটনায় রোববার দুপুরে ফেনীর পুলিশ সুপার এক সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের কাছে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন।
পুলিশ সুপার খোন্দকার নূরুন্নবী বলেন, গত ৩০ মে ফেনী শহরের রামপুর পাটোয়ারী বাড়ির সাদেক হোসেনের গরুর খামারের কর্মচারী সাগরকে গলা কেটে হত্যা করে। ঘটনার পর থেকে হত্যাকাণ্ড ক্লুলেস ছিল। পরবর্তীতে দীর্ঘ ৫০ দিন পর জেলা ডিবি পুলিশ তদন্ত করে হত্যার রহস্য উদঘাটন করে।
তিনি আরও বলেন, কর্মচারী সাগরের সাথে বৃষ্টির পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। সে সম্পর্কের সূত্রধরে সাগর বৃষ্টির কিছু অন্তরঙ্গ ছবি ও ভিডিও ধারণ করে রাখে। একপর্যায়ে তাদের সম্পর্কের অবনতি হলে এ সকল ছবি-ভিডিও মুছে ফেলতে ছাপ প্রয়োগ করে বৃষ্টি। এসব মুছে ফেলতে অস্বীকৃতি জানালে বৃষ্টি, তার স্বামী নয়ন ও ভাসুর রাজন গত ৩০ মে গরুর খামারে আসে। তখন তারা ৩ জনে মিলে এসব ছবি-ভিডিও মুছে ফেলতে সাগরকে ছাপ প্রয়োগ করে। এ সময় তারা মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ারও চেষ্টা করে। না পেরে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হলে একপর্যায়ে নয়ন সাগরের গলায় দা দিয়ে কোপ দেয়। এতে মাটিতে লুটে পড়ে মারা যায় সাগর। পুলিশের কাছে প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে এসব কথা বলেছেন আসামিরা।
নিহত সাগরের বাড়ি নেত্রকোণা জেলার বারহাট্টা উপজেলার মো. হোসেন আলীর ছেলে। নিহত সাগর এই খামারে প্রায় ৮ বছর কর্মরত ছিল। গত চার মাস আগে সাগর তার নিজ জেলা নেত্রকোণায় গিয়ে বিয়ে করেছিল। আসামিদের বাড়ি চাঁদপুর জেলায়। তারা ফেনীর রানীরহাটে ভাড়া বাসায় থাকেন।
ইউএইস/
Leave a reply