মিঠামইনে ভাইয়ের জানাজায় অংশ নিলেন রাষ্ট্রপতি

|

ভাইবোনদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বাঁয়ে প্রয়াত মো. আবদুল হাই। ডানে তাদের ছোট ভাই আবদুল হক নুরু এবং বোন আছিয়া আলম।

মিঠামইনের কামালপুরের পৈত্রিক বাড়িতে ছোট ভাই মো. আবদুল হাইয়ের জানাজায় অংশ নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, আছরের নামাজের পর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার বাড়ির প্রাঙ্গণে ছোট ভাই আবদুল হাইয়ের দ্বিতীয় জানাজায় অংশ নেন। রাষ্ট্রপতির পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও জানাজায় অংশ নেন। জানাজায় ইমামতি করেন রাষ্ট্রপতির ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ।

জানাজা শেষে পিপিই পরিহিত আবদুল হামিদ তার ছোট ভাই আবদুল হাইয়ের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। জানাজা শেষে আবদুল হাইকে পারিবারিক করবস্থানে দাফন করা হয়। পরে আব্দুল হাইয়ের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন রাষ্ট্রপতি। রোববার দুপুরে আবদুল হাইয়ের প্রথম জানাজা কিশোরগঞ্জের মিঠামইনের মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সরকারি কলেজ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। জানাজার আগে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইয়ের কফিনে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় সম্মান (গার্ড অব অনার) জানানো হয়। এর আগে, দুপুরে হেলিকপ্টার যোগে ঢাকা থেকে আবদুল হাইয়ের মরদেহ মিঠামইনে নিয়ে যাওয়া হয়। কলেজ প্রাঙ্গনে জানাজার আগে সেখানে আবদুল হাইয়ের জীবন ও কাজ নিয়ে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। এছাড়া স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা বক্তব্য রাখেন। কফিনে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

গত ১৭ জুলাই শুক্রবার রাত সোয়া ১টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন আবদুল হাই। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। করোনা উপসর্গ দেখা দিলে গত ২ জুলাই তার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসলে রাতেই তাকে ঢাকা সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ১২ জুলাই থেকে ভেনটিলেশনে রাখা হয়।

মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলায় ১৯৫৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ৯ ভাই বোনের মধ্যে আবদুল হাই ছিলেন ৮ম। তিনি কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সরকারি কলেজের সাবেক সহকারী অধ্যাপক হিসেবেও কাজ করেছেন। হাজি তায়েব উদ্দিন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং শিক্ষক ছিলেন ।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply