যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের সান বার্নারডিনোর বাসিন্দা ল্যারি গোমেজ জন্ম থেকেই এক বিরল রোগের শিকার। হাইপারট্রাইকোসিস নামক এই রোগটি বংশগত। পৃথিবীতে মাত্র ১০০ জনের এই অসুখ আছে। গোমেজের পরিবারে এই রোগে আক্রান্ত আরও কয়েকজন আছেন। পাঁচ পুরুষ ধরেই পরিবারটিতে কেউ না কেউ আক্রান্ত হয়েছেন হাইপারট্রাইকোসিসে।
কিন্তু অন্যা কারো বেলায় ল্যারির মতটা প্রকট হয়ে দেখা দেয়নি রোগটি। হাইপারট্রাইকোসিস হলে শরীরে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পশম গজায়। ল্যারির দেহের বেশিরভাগ ঢেকে গেছে ঘন কালো লোমে।
এজন্য ছেলেবেলা থেকে অনেক বিরুপ মন্তব্য সহ্য করতে হয়েছে ল্যারিকে। পাড়ার ছেলেরা দলবেধে ক্ষেপাতো তাকে। শৈশবেই ল্যারি টের পান তিনি অন্যদের চেয়ে আলাদা। এতে স্বাভাবিকভাবেই কষ্ট লাগতো তার। তবে বড় হয়ে এখন আর নিজের ভিন্ন রকম অবয়বের কারণে খারাপ লাগে না ল্যারির। বরং নিজেকে আলাদা ভাবতে ভালই লাগতো এই যুবকের। তাই কখনও প্লাস্টিক সার্জারি বা অন্য কোনো চিকৎসাও নেননি।
ল্যারি পরিচিতি পেয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে ‘লোমশ মানুষ’ হিসেবে। সংবাদমাধ্যমে আলোচনা হচ্ছে তাকে নিয়ে। অনেকেই ল্যারিকে ডাকছেন ‘নেকড়ে মানব’ বলে। এই ‘জনপ্রিয়তা’ তাকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে- এমনটিই বলেছেন ল্যারি। ২০১১ সালে খুঁজে পেয়েছেন জীবনসঙ্গীকে। ল্যারির ধারণা জনপ্রিয়তার কারণে আত্মবিশ্বাস না ফিরে পেলে তিনি জীবনে সুখী হতে পারতেন না।
ভিডিও লিংকঃ- https://www.mirror.co.uk/news/weird-news/worlds-hairiest-person-wolf-man-11976979
Leave a reply