যমজ শিশুর জন্ম কেন হয়? এ প্রশ্নের উত্তর জানতে মানুষের আগ্রহ সেই আদিকাল থেকে। অনেকেই জানতে চান এর রহস্য। তবে যমজ সন্তান নিয়ে রহস্য বা গবেষণার কিছু নেই। প্রাকৃতিকভাবেই যমজ শিশুর জন্ম হয়ে থাকে। তবে অনেক সময় এ ক্ষেত্রে পারিবারিক বা জিনগত (জেনেটিক) ইতিহাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া স্বয়ং সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় এটি ঘটে থাকে। এখানে কারও হাত নেই।
কেন হয় যমজ সন্তান?
মায়ের দেহে সাধারণত একই সময়ে একটি মাত্র ডিম্বাণু দুটি ডিম্বাশয়ের যে কোনো একটি থেকে নির্গত হয়। যদি দুটি ডিম্বাশয় থেকেই একটি করে ডিম্বাণু একই সময়ে নির্গত হয়, তবে ওভ্যুলেশন পিরিয়ডে তার শরীরে মোট দুটি ডিম্বাণু থাকে। এ সময় মিলন হলে পুরুষের শুক্রাণু উভয় ডিম্বাণুকেই নিষিক্ত করে। একটি নিষিক্ত ডিম্বাণু প্রথমে দুটি পৃথক কোষে বিভক্ত হয়। পরবর্তী সময় প্রতিটি কোষ থেকে একেকটি শিশুর জন্ম হয়। এখানে দুটি কোষ যেহেতু পূর্বে একটি কোষ ছিল, তাই এদের সব জিন একই হয়ে থাকে। এ কারণে এরা দেখতে অভিন্ন হয় এবং একই লিঙ্গের হয়। এভাবেই নন-আইডেন্টিক্যাল টুইন শিশুর জন্ম হয়। এসব শিশু সবসময় একই লিঙ্গের নাও হতে পারে এবং তারা দেখতে ভিন্নও হতে পারে।
সন্তান যমজ কিনা তা বুঝবেন যেভাবে
বেশি শরীর খারাপ ও গর্ভাবস্থায় পেটের আয়তন স্বাভাবিক তুলনায় বেড়ে যাওয়া। গর্ভের সন্তান যমজ কি না জানতে দুই মাস পর আলট্রাসাউন্ড করে জেনে নিতে পারেন।
Leave a reply