বাধ্যতামূলক করার পরও অনেকে এখনও মাস্ক পরার ব্যাপারে উদাসীন। কেউ কেউ সাথে রাখলেও ঠিক মতো পরছেন না। বেশি অসতর্কতা দেখা গেলো নিম্ন আয়ের বয়স্ক কর্মজীবীদের মাঝে।
বিপরীত দিক থেকে অনেকটাই সচেতন, মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তরা। মাস্ক ব্যবহার করেই মোকাবেলা করতে হবে ভীষণ ছোঁয়াচে করোনাভাইরাস- এমনটাই বিশ্বাস তাদের।
ভাইরাসের প্রবেশ পথ নাক ও মুখ ঢেকে রাখে মাস্ক। কিন্তু মাস্ক সঠিকভাবে, সঠিক স্থানে না পরলে, থেকে যায় ঝুঁকি। করোনাভাইরাস নিয়ে এতো আলোচনা যে, এসব আর কারও অজানা নয়। তবুও ভুলে যান অনেকে। অসতর্কতায় অরক্ষিত করে তোলেন নিজেকে।
অনেককেই দেখা যায় মাস্ক গলায় বেঁধে ঘুরছেন। আবর অনেকেই সেটা থুতনিতে আটকে বাজার সদায়ে ব্যস্ত। বেশি অসতর্ক কর্মজীবী বয়স্করা। অনেক তরুণের মধ্যেও দেখা যায় উদাসীনতা। তারা আবার নানা অজুহাত খোঁজেন মাস্ক না পরার।
গুলশান আর কারওয়ান বাজার এলাকার ভিন্ন অর্থনৈতিক অবস্থার মানুষের মাঝে মাস্ক ব্যবহারের তুলনামূলক একটা চিত্র পাওয়া যায়। গুলশানে বেশিরভাগই সচেতন। আর কারওয়ান বাজারে কর্মজীবীদের অনেকেই অসতর্ক। অথচ এখানে সমাগম অনেক। সেখানে তাই মাস্কই হতে পারে সুরক্ষার উপায়।
তবে বিশ্বব্যপী করোনার শুরু থেকেই বিশেষজ্ঞরা বলে আসছেন মাস্কের ব্যবহার নিশ্চিত করতে। কারণ মাস্ক ব্যবহারের ফলে একজন থেকে আরেকজনে এ ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কম থাকে। কিন্তু আমরা বরাবরই সে বিষয়ে উদাসীন ভাব দেখিয়ে আসছি যার ফলাফল অবশ্যই ভালো নয়।
Leave a reply