বানের জলে ভেসে গেল চরের ‘বাতিঘর’

|

মাদারীপুরে চরের বুকে মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছিল বিদ্যালয়টি। হতদরিদ্র পরিবারের সন্তানদের মাঝে ছড়াচ্ছিল জ্ঞানের আলো। কিন্তু সেই প্রদীপ নিভে গেল বানের জলে। স্কুলভবন বিলীন হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আগামীতে পাঠ কার্যক্রম কীভাবে চলবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।

বানের জলে ভেসে গেল চরের বাতিঘর। চোখের সামনে প্রাণের বিদ্যাপিঠ বিলীন হলো নদীতে। শৈশবের স্মৃতিমাখা স্কুল, স্মৃতি হয়ে গেল চিরতরে। সেই কষ্ট কাঁদিয়েছে বন্দরখোলার অনেক সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীকে।

পদ্মার অব্যাহত পানি বৃদ্ধিতে কদিন আগেই ভাঙন ঝুঁকিতে পড়ে শিবচরের নুরুউদ্দিন মাদবরকান্দি SESDP মডেল বিদ্যালয়। ফাটল দেখা দেয় তিনতলা ভবনে। দ্রুত সরিয়ে নেয় হয় গুরুত্বপূর্ণ নথি ও আসবাব। অবশ্য এর আগেই শুরু হয়েছিল জিও ব্যাগ ডাম্পিং। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না।

দৃষ্টিনন্দন স্কুলটি নির্মিত হয় ২০১০ সালে। বিভিন্ন শ্রেণিতে এখন লেখাপড়া করে সাড়ে তিনশ’র বেশি শিক্ষার্থী। আগামীতে কোথায় কীভাবে পাঠদান হবে সেই প্রশ্ন ভাবাচ্ছে প্রধান শিক্ষককে।

নদীতে হারিয়ে যাওয়া স্কুলটিতে লেখাপড়ার মানও ছিল ভাল। কিন্তু এখন সন্তানদের ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তায় অভিভাবকরা। মাদারীপুরের শিবচরের স্কুলটি বিলীন হওয়ায় মাথা গোঁজার ঠাঁইও হারালো বন্যা দুর্গতরা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply