পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীতে মাদক সেবনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই কলেজ ছাত্রকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়েছে। হামলার ঘটনার একটি ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
আহতরা হলো, পটুয়াখালী পৌর শহরের একেএম কলেজের স্নাতকের ছাত্র এনামুল হক মুন্না (২২) ও রাজধানীর একটি প্রাইভেট ইউনির্ভাসিটির স্নাতকের ছাত্র নিবির দাস গুপ্ত (২২)। আহতদের বাসা শহরের চরপাড়া এলাকায় বলে জানা গেছে। আহতরা বর্তমানে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এঘটনায় ১ জনকে আটক করা হয়েছে বলে সদর থানা পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
আহত এনামুল হক মুন্না জানায়, গত ২২ জুলাই শহরের একটি ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনে অংশ নেয়ার জন্য আহত দুই বন্ধুসহ সহপাঠীরা শহরের সরকারি জুবিলী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যায়। এসময় প্রকাশ্যে মাদক সেবন নিয়ে আহতদের সাথে হামলাকারীদের মধ্যে বাক বিতণ্ডা হয়। পরে তা মিটিয়ে যে যার মত করে খেলায় অংশ নেয়।
খেলার একপর্যায়ে নিবির দাস গুপ্ত শারীরিকভাবে আহত হলে সহপাঠীরা তাকে পরীক্ষা-নিরিক্ষার জন্য পানামা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে নিয়ে যায়। এসময় মো. সবুর (২৭), রিফাত (২৭), সিফাত (২০), আরমান (২৪), রিজন (২২), মো. হৃদয় (২২), পুলক (২৩) শাহদাত (২৩), জুয়েল (২১) রতন (২৪), সাজিন (২১)সহ একটি কিশোর গ্রুপ দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে ওই দুই কলেজ ছাত্রের উপর হামলা চালায়। এসময় আত্মরক্ষার্তে আহতরা ছুটোছুটি করে পানামা ডায়াগনষ্টিক সেন্টার থেকে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে।
হামলাকারীরা এসময় প্রকাশ্যে অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তাদের। একপর্যায়ে আহতরা দৌঁড়ে স্থানীয় নৌ-ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে গিয়ে আশ্রয় নিলে সেখানে গিয়ে হামলা চালায় হামলাকারীরা। হামলার পর হামলাকারীরা মোটরসাইকেলযোগে সে স্থান ত্যাগ করে। তখনও তাদের হাতে রামদা, দা বটিসহ ধারালো অস্ত্র ভিডিও চিত্রে দেখা গেছে।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হামলা হয়েছে বলে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে। এছাড়াও যারা এই হামলার ঘটনার জড়িত তারা অনেকেই প্রকাশ্যে মাদক সেবন, ইভটিজিংসহ নানা অপরাধের সাথে জড়িত বলেও জানা যায়।
মাঝে মাঝে এই গ্রুপটি মোটরসাইকেলে শোডাউন দিয়ে শহরে আতঙ্ক সৃষ্টি করে বেড়ানোর নজির রয়েছে। প্রতিনিয়ত এই গ্রুপটি শহরের সিঙ্গারা পয়েন্ট এলাকায় আড্ডা বসিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বলেও ভূক্তভোগীরা জানায়।
জানতে চাইলে পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আখতার মোর্শেদ জানান, হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এছাড়া ঘটনার সাথে জড়িত এক জনকে ইতোমধ্যে আটক করে জেলে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
Leave a reply