তাজউদ্দীন আহমেদের জন্মদিন উপলক্ষে করা এক ভার্চুয়াল আলোচনায় বঙ্গবন্ধুর অবদানকে খাটো করা হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী শাহ আলী ফরহাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিবৃতি দিয়েছেন তাজউদ্দীন পুত্র ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ।
সোহলে তাজ বলেন, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল অসৎ উদ্দেশ্যে এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টির লক্ষে ‘তাজউদ্দীন আহমদ, তার দেশপ্রেম, এবং দেশের প্রতি তার অপরিসীম অবদান নিয়ে অলোচনা করার অর্থ নাকি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটাক্ষ করা’ বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
শনিবার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে ভিডিও বার্তায় ও লিখিতভাবে এ বিবৃতি দেন সোহেল তাজ।
বিবৃতিতে হুবহু তুলে ধরা হলো-
https://www.facebook.com/tanjimsoheltaj/videos/291029715447687/
–তাজউদ্দীন আহমদ এবং জোহরা তাজউদ্দীনের পরিবারের পক্ষে বিবৃতি
দৃষ্টি আকর্ষণ: মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
গত ২৩ জুলাই আমাদের বাবা তাজউদ্দীন আহমদের ৯৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘সিতারা’ (সেন্টার ফর তাজউদ্দীন আহমদ রিসার্চ এন্ড এক্টিভিজম) এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় ভারচ্যুয়াল আলোচনা, পাশাপাশি স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে পত্র-পত্রিকায় তার কর্ম জীবন এবং অপরিসীম অবদান সম্পর্কে আলোচনা তুলে ধরা হয়।
অতি দুঃখের সাথে আমরা লক্ষ্য করলাম যে, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল অসৎ উদ্দেশ্যে এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টির লক্ষে অপচেষ্টা চালাচ্ছে, তারা বলছেন – তাজউদ্দীন আহমদ, তার দেশপ্রেম, এবং দেশের প্রতি তার অপরিসীম অবদান নিয়ে অলোচনা করার অর্থ নাকি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটাক্ষ করা।
উল্লেখ্য যে, আমাদের জানা মতে, বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদকে নিয়ে স্বতঃস্ফূর্ত যে সকল আলাপ-আলোচনা ও লেখালেখি হয়েছে, সেখানে জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কোনো ধরনের কটুক্তি দৃশ্যমান হয়নি।
বঙ্গবন্ধু বাঙালী জাতির জনক, তিনি জাতির পিতা, এই নিয়ে কোনো সন্দেহ বা বিতর্ক থাকতে পারেনা, অবকাশ নেই। বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু অবিচ্ছেদ্য । যতদিন পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি এবং জাতির পিতা হিসাবে স্বর্ণোজ্জ্বল আলোয় তিনি আলোকিত থাকবেন ।
আমরা খুবই বিস্মিত ও দুঃখিত হলাম, যখন শাহ্ আলী ফরহাদ নামের এক ব্যক্তির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের স্ট্যাটাস আমাদের নজরে আসে। (আমরা তার বাপ/দাদা পরিবার বা ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে ভদ্রতার খাতিরে এখানে উল্লেখ করছি না) তার স্ট্যাটাসে তিনি এই বিভ্রান্তিমূলক ও আপত্তিকর লেখা লিখেছেন।
এখন বিষয় হচ্ছে, যার ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব প্রচার করা হচ্ছে, তিনি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি পদে কর্তব্যরত আছেন। স্বাভাবিকভাবেই জনমনে প্রশ্ন আসে, এটা কি তার ব্যক্তিগত অভিমত? এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কি এই ধরনের মতামত সমর্থন করেন? আর যদি সমর্থন না করেন, তাহলে আমরা আশা করবো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এই মর্মে একটি বিবৃতি দেয়া হবে। এছাড়াও, যদি এটা কোনো ব্যক্তিগত অভিমত হয়ে থাকে, তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের খতিয়ে দেখা উচিত এইখানে তার কোনো ব্যক্তিগত অসৎ উদ্দেশ্য আছে কিনা। কারন এসব উস্কানিমূলক কথাবার্তা তারই ইংগিত দেয়।
পাশাপাশি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের গবেষণা শাখা CRI এর প্রধান হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এরকম অভিমত প্রকাশের মাধ্যমে তিনি সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন, বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃত করছেন এবং বঙ্গবন্ধু ও সোনার বাংলার অবমাননা করছেন। আর যদি আসলেই ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করতে হয় সঠিক তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে ইতিহাসের কাছে যেতে হবে। আমরা মনে করি জাতির স্বার্থে উন্মুক্ত আলোচনা, উন্মুক্ত প্রবাহের মাধ্যমে তা করা প্রয়োজন । যেখানে সংশ্লিষ্ট সকলের অংশ গ্রহণ থাকবে।
ধন্যবাদ
https://www.facebook.com/SAliFarhad/posts/10157691066343722
উল্লেখ্য, ২৩ জুলাই বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ৯৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘সিতারা’ (সেন্টার ফর তাজউদ্দীন আহমদ রিসার্চ এন্ড এক্টিভিজম) এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তাজউদ্দীনের অবদানকে মহিমান্বিত করতে বঙ্গবন্ধুকে খাটো করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি শাহ আলি ফরহাদ।
https://www.facebook.com/SAliFarhad/posts/10157693576778722
Leave a reply