নলছিটিতে জলিল খান নামের এক যুবককে জন্মদিনের দাওয়াতের কথা বলে বাখেরগঞ্জ থানার মহেষপুর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় আটকে রেখে পরিবারের কাছে চাঁদা দাবি করায় সাদ্দাম (২২), ইমরান (২৩) ও রাব্বি (২২) নামের ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এহাজার সূত্রে জানা যায়, গত ২১ জুলাই বিকেলে উপজেলার গোদন্ডা গ্রামের ফারুক খানের পুত্র জলিল খান স্থানীয় বিজি ইউনিয়ন একাডেমির মাঠে ফুটবল খেলছিল। এ সময় তারই বন্ধু কামদেবপুর গ্রামের মজিবর হাওলাদারের পুত্র সাগর হাওলাদার ও মাদারঘোনা গ্রামের হারুন হাওলাদারের পুত্র মো. জসিম হাওলাদার তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দিয়ে জলিল খানকে বিজি ইউনিয়ন একাডেমির গেটে আসতে বলে।
তারপর তাদের ফোনে সাড়া দিয়ে জলিল খান একাডেমির গেটে আসলে এক বন্ধুর জন্মদিনের দাওয়াতে যাওয়ার কথা বলে জলিল খানকে তাদের মোটরসাইকেলে উঠিয়ে নিয়ে যায়। তাদের মোটরসাইকেল বাখেরগঞ্জ থানার মহেষপুর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছানোর পর পূর্ব থেকে ওত পেতে থাকা মো. সালাউদ্দিন (২৮), মো. ইমরান বিশ্বাস (২২), মো. সালেহ রাব্বি (২২), মো. বনি হাওলাদার (২২), রাকিব জোমাদ্দার (২০) সহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজন জলিলকে রাস্তা থেকে কয়েকশ ফুট দূরে নিয়ে বেধম মারধর করে। এরই ফাঁকে অপহরণকারী দলের মূল হোতা জসিম ও সাগর ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
পরবর্তীতে অপহরণকারীরা জলিলের ভাইয়ের ব্যবহৃত ফোন নম্বরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ফোন দিয়ে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। অন্যথায় জলিলকে তারা ক্রসফায়ার দিবে বলে হুমকি দেয়।
তাদের ফোন পেয়ে অপহৃতের স্বজনরা তাৎক্ষণিক ৩০ হাজার টাকা নিয়ে অপহরণকারীদের দেয়া লোকেশন বাখেরগঞ্জ থানার বাংলা বাজারে রাত আনুমানিক ১২টা নাগাদ পৌঁছায়। তাদের কাছে জলিলের ভাই আল-আমিন খান ৩০ হাজার টাকা দিয়ে বাকি টাকা পরে দিবে বলে তাদের ভাইকে ফেরত চায়।
ইতোমধ্যে বাখেরগঞ্জ থানার টহল পুলিশ সেখানে পৌঁছালে আল-আমিন সকল ঘটনা খুলে বললে অপহরণকারীরা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে কিন্তু পুলিশ সাদ্দাম, ইমরান ও রাব্বিকে আটক করতে সক্ষম হয়।
এ ঘটনায় নলছিটি থানায় দায়েরকৃত মামলার তদন্ত অফিসার এসআই হুমায়ুন কবির জানান বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
ইউএইস/
Leave a reply