পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
গত ২৫ জুলাই যমুনা টেলিভিশনের অনলাইনে ‘পটুয়াখালীতে প্রকাশ্যে কলেজ ছাত্রের উপর হামলার ভিডিও ভাইরাল’ শিরোনামে প্রকাশিত রিপোর্টটি প্রশাসনের নজরে আসলে অভিযুক্ত চার কিশোর গ্যাং সদস্যকে আটক করেছে র্যাব সদস্যরা।
রোববার মধ্য রাতে বরিশালের বিভিন্ন স্থান থেকে পলাতক অবস্থায় তাদের আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেছে পটুয়াখালী র্যাবের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ইফতেখারুজ্জামান।
অভিযান পরিচালনাকালে হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে র্যাব। আটককৃতরা হলেন-পটুয়াখালী শহরের সদর রোড এলাকার মশিউর রহমান কিসলুর ছেলে সিফাত (২২) শিমুলবাগ এলাকার সাজু সিকদারের ছেলে আরমান (২২), সবুজবাগ এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে রিজন (২২) ও চকবাজার এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সাইদুর রহমান (২২)।
র্যাব জানায়, গত ২২ জুলাই প্রকাশ্যে এনামুল হক মুন্না (২২) ও নিবির দাস গুপ্ত (২২) নামে দুই কলেজ ছাত্রকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে এবং পরবর্তীতে ওই ঘটনা নিয়ে যমুনা টিভির অনলাইনে চিত্রসহ একটি প্রতিবেদন হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও পটুয়াখালী র্যাব-৮ এর নজরে আসে। এদিকে হামলার ঘটনার পর চক্রটি আত্মগোপনে চলে যায়। হামলার ঘটনা ভাইরাল হলে দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে তাদের পাওয়া যায়নি। পরে গোপন সংবাদের
ভিত্তিতে জানা যায় চক্রটি বরিশালে আত্মগোপনে রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় রোববার গভীর রাতে সিফাত, আরমান ও রিজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ী সাইদুর রহমানকে আটক করা হয়। এ সময় সাইদুর রহমানের বাসা থেকে বেশ কিছু ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার দুপুরে তরুণ প্রজন্মের ব্যানারে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। নিরাপদ শহর গড়াসহ নানা অপরাধ দমনের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরীর কাছে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়। ওই মানববন্ধনে নোমান মিঠু, আদনান হাবিব খান, মীর মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ ও নিবির দাস গুপ্তসহ একাধিক শিক্ষার্থীরা বলেন, মাদক, ইভটিজিং, চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ করে বেড়াচ্ছে এই কিশোর গ্যাং। এছাড়াও কিশোর গ্যাং দ্বারা ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাও ঘটে।
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আধিপত্য, আড্ডা, মাদক সেবন এবং মোটরসাইকেল শোডাউন দিয়ে তারা শহরে আতঙ্ক সৃষ্টি করে আসছে।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, কিশোর গ্যাং এর এই চক্র প্রতিনিয়ত শহরের সিঙ্গারা পয়েন্ট এলাকায় আড্ডায় বসিয়ে সরকারি মহিলা কলেজ ও সরকারি গার্লস স্কুলের নারী শিক্ষার্থীদের উত্যক্ত করে আসছে। আইনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এর প্রতিকার দাবি করছেন।
এরআগে এ ঘটনার পর থানায় মামলা হলে দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত একজনকে আটক করে পুলিশ জেলে পাঠালেও দুই দিনের মাথায় আদালত থেকে সে জামিনে বের হয়ে আসে।
ইউএইস/
Leave a reply