মনিরুল ইসলাম:
রাজধানীর পল্লবী থানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় মধ্যরাতের অভিযানে তিনজনকে আটক করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, তাদের কাছে ছিল বিস্ফোরক ও অস্ত্র। ওই তিনজনের মধ্যে একজন শহীদুল। তার বাসা মিরপুরের ১১ নম্বর সেকশনের বাউনিয়া বাঁধ এলাকায়।
পরিবারের অভিযোগ, আটক দেখানোর দু’দিন আগে (২৭ তারিখ) এলাকার আক্কাস আলীর চায়ের দোকানে বসে ছিলেন শহীদুল। এ সময় একটি গাড়িতে করে সাদা পোশাকে কিছু লোক এসে তাকে ধরে নিয়ে যায়। কালো মাইক্রোবাসে ধরে নিয়া যাওয়ার সে দৃশ্য ধরা পড়ে সিসিটিভির ক্যামেরায়।
পরিবার বলছে, শহীদুল একজন বাসচালক। যেদিন তাকে নিয়ে যাওয়া হয়, ওইদিনই পল্লবী থানায় জিডি করেন তারা। অভিযোগ নিয়ে পুলিশ, র্যাব, হাসপাতালসহ সব জায়গায় খুঁজেছে পরিবার। কোথাও পায়নি। এমনকি সবাই আটকের কথা অস্বীকার করে। এতে তাদের দুশ্চিন্তা বেড়ে যায়।
বিস্ফোরণের পর তারা দেখেন শহীদুল থানায় আটক। ছেলের খোঁজ পেয়েছেন। তাই শহীদুলের পরিবারে এখন কিছুটা হলেও স্বস্তি। তবে দুটি মামলা হওয়ায় এখন কি হবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন তারা।
শুধু শহিদুল নয়, আরেক আটক রফিকুলের পরিবারের অভিযোগও একই। তাকেও দুইদিন আগে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছে পরিবার। থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে তাদের বকাঝকা করে তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগও করেন রফিকুলের স্বজনরা।
তবে পুলিশ বলছে, পরিবারের অভিযোগ খতিয়ে দেখছেন তারা। এ অপরাধের সঙ্গে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা নেই বলেও দাবি করেছে পুলিশ।
ইউএইস/
Leave a reply