পটুয়াখালী প্রতিনিধি
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর বাউফলের কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সালেহ উদ্দিন পিকু ও সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলু গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় বাউফল উপজেলার কেশবপুর কলেজ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন কেশরপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি রুমান তালুকদার (৩০) ও যুবলীগের কর্মী ইসরাত তালুকদার (২৫)। সম্পর্কে এরা দুইজন চাচাতো ভাই।
এ ঘটনায় দিপন তালুকদারসহ আহত হয়েছেন অন্তত আরও তিনজন। চার জনকে আটক করেছে বাউফল থানা পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ডিসেম্বরে কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সালেহ উদ্দিন পিকুর সাথে ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলুর বিরোধ চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। দুই গ্রুপই স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক চিফ হুইপ আসম ফিরোজ এমপির সমর্থক।
এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার কেশবপুর বাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন যুবলীগ ও সেচ্ছাসেবক লীগের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষে দুইপক্ষের কমবেশি ১০ জন আহত হয়। এই সংঘর্ষের জের ধরে রোববার সন্ধ্যায় পাল্টা সংঘর্ষ হলে যুবলীগ নেতা রুমান ও ইসরাত মারা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোববার সন্ধ্যায় কেশবপুর বাজারে আওয়ামী লীগের সভাপতি সালেহ উদ্দিন পিকুর সমর্থক যুবলীগ নেতা রুমন ও ইসরাতসহ অন্যান্যরা আড্ডা দিচ্ছিল। এ সময় মহিউদ্দিন লাভলুর সমর্থক যুবলীগের রফিক ও রাশেদের নেতৃত্বে ১০/১২ জন নেতাকর্মী সেখানে হাজির হলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয় পরে সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে রুমান ও ইসরাতকে কুুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। পরে আহতদের বাউফল হাসপাতালে নেয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক রুমান ও ইসরাতকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাউফল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শুক্রবারের ঘটনার রেশ ধরেই এ সংঘর্ষের ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।
বাউফল থানার ওসি (তদন্ত) আল মামুন বলেন, দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
দুইজন নিহতের ঘটনা নিশ্চিত করে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বাউফল সার্কেল মোঃ ফারুক হোসেন জানান, ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে তাৎক্ষণিকভাবে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তিনি জানান, এ ঘটনার সাথে যে বা যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
Leave a reply