প্রায়ই ব্রডব্যান্ড ওয়াই-ফাই ইন্টারনেটের কচ্ছপগতি নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েন গ্রাহক। অনেক গতির সংযোগ ব্যবহার করেও কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায় না। ইন্টারনেট বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী, বেশকিছু ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে, যা দ্বারা খুব সহজেই বাড়িয়ে নেয়া যেতে পারে ইন্টারনেট কানেকশনের গতি।
ওয়াই-ফাই রাউটারের স্থান নির্ধারণ : বিশেষজ্ঞদের মতে ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক তরঙ্গ রাউটারের ইন্টারনেটের গতি অনেকখানি কমিয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে বেশি গতি পাওয়ার জন্য ব্যবহারকারীর উচিত সঠিক ও নিরাপদ স্থানে রাউটারটি রাখা। টিভি, ল্যাপটপ-ডেস্কটপ বা মোবাইলসহ যেসব ডিভাইসে ওয়াই-ফাই সংযোগ থাকবে তার থেকে কিছুটা দূরত্বে রাউটার স্থাপন করতে হবে।
স্বল্প সময়ের জন্য রাউটার বন্ধ রাখা : দীর্ঘ সময় ধরে টানা রাউটার চলার কারণে অনেক সময় ইন্টারনেটের সঠিক গতি পেতে ঝামেলা পোহাতে হয়। সে ক্ষেত্রে আপনার রাউটারে গতির কোনো সমস্যা রয়েছে কি-না ট্রাবল শুটিং উইজার্ড চালিয়ে তা দেখে নিতে পারেন। সেই সমস্যার সমাধানে নতুন করে রাউটারের সেটিংস আবার চালু করলে, আপনার রাউটারটি আবার পুরনো ছন্দে অনেক ভালো গতিতে কাজ শুরু করবে। এছাড়াও প্রতিদিন নিয়ম করে কাজে বসার আগে বা পরে অন্তত দশ মিনিটের জন্য রাউটারটি বন্ধ রাখলেও ভালো ফল পাওয়া যাবে।
পাসওয়ার্ড পরিবর্তন : প্রায়ই দেখা যায়, নিজের অজান্তেই অন্য কেউ রাউটার হ্যাক করে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। অথচ ব্যবহারকারী না পাওয়ার কারণ ভেবে পায় না। সে ক্ষেত্রে রাউটারের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে নিরাপদ একটি পাসওয়ার্ড দিতে হবে। এক্ষেত্রে পুরনো কেউ লগইন করে ইন্টারনেটে সংযুক্ত থাকলে সেটিও আর পারবে না। নিরাপদ পাসওয়ার্ড সেদিক থেকে আপনার ইন্টারনেট গতি বাড়াতে অনেকটাই সাহায্য করবে।
ভিপিএন : কিছু সাইটে সরাসরি প্রবেশ করা যায় না। এ ক্ষেত্রে অনেকেই অনেক কাজের জন্য ভিপিএন ব্যবহার করেন। ভিপিএন ব্যবহারে ইন্টারনেটের গতি অনেকটাই কমে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে কাজের ক্ষেত্রে যদি ভিপিএন ব্যবহার বাধ্যতামূলক না হলে ব্যবহার না করাই ভালো।
হার্ডওয়্যার আপগ্রেড : পুরনো হার্ডওয়্যারের কারণেও ইন্টারনেট স্পিড ধীরগতির হতে পারে। তাই অবশ্যই আপগ্রেডেড মডেলের রাউটার ব্যবহার করুন। পুরনো রাউটারে ইন্টারনেটে স্পিডও ধীরগতির হতে পারে। চেষ্টা করুন ৫জি-এর রাউটার ব্যবহার করার।
Leave a reply