ট্যাক্সির ডিকিতে শাক-সবজির বস্তায় মিলেছে এক বৃদ্ধার লাশ। বৃদ্ধার নাম সুজামণি। তিনি ভারতের হরিদেবপুর থানার কবরডাঙা-কালীতলা এলাকার বাসিন্দা। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
খবরে বলা হয়, শাক-কুমড়োয় ভর্তি ছিল বস্তাটি। আপাতদৃষ্টিতে দেখে সন্দেহ হওয়ার কিছুই ছিল না। কিন্তু সেই বস্তার ভিতরেই মিললো এক বৃদ্ধার রক্তাক্ত দেহ। পরে দেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। পালানোর চেষ্টা করেও পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে তিন জন। তাদের বিরুদ্ধে বৃদ্ধাকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, পশ্চিম চৌবাগা এলাকায় তল্লাশি চলছিল। এ সময় কনস্টেবল সুকোমল জানা এবং সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় গাড়ি তল্লাশির কাজ করছিলেন। ভোর চারটার দিকে তারা একটি হলুদ ট্যাক্সিকে থামান। চালক ছাড়াও ট্যাক্সিতে ছিল এক মহিলা ও এক ব্যক্তি। চালক পুলিশকে জানায়, তারা তিন জনই আড়ুপোতার বাসিন্দা।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, প্রথমে সন্দেহ না হলেও ডিকির জিনিসপত্র দেখে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের মনে হয়েছিল, ভিতরে ভারী কিছু রয়েছে। তাই তারা চালককে ডিকি খুলতে বলেন। এর পরে ডিকি খুলতেই দেখা যায়, সাদা বস্তায় শাক-জাতীয় লতাপাতা ও কুমড়ো রয়েছে। কিন্তু সেই বস্তার ওজন দেখে সন্দেহ হওয়ায় ট্যাক্সিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন পুলিশকর্মীরা। তখনই ট্যাক্সির পুরুষ যাত্রী নেমে পালানোর চেষ্টা করে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ধরে ফেলে। ডিকির বস্তা সরাতেই বেরিয়ে পড়ে এক মহিলার রক্তাক্ত দেহ। এর পরে তিন জনকেই আটক করে প্রগতি ময়দান থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, ট্যাক্সির দুই যাত্রীর নাম মলিনা মণ্ডল এবং অজয় রং। অজয় মলিনার ভাই। মৃতার নাম সুজামণি গায়েন (৬০)। তিনি সম্পর্কে মলিনার বড় মেয়ের শাশুড়ি। তারা দু’জনে সুজামণিকে খুন করেছে।
তদন্তকারীরা জানান, সুজামণি হরিদেবপুর থানার কবরডাঙা-কালীতলা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। কালীঘাটে ফুল বিক্রি করতেন তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে মলিনা এবং অজয় কালীঘাট থেকে সুজামণিকে তাদের আড়ুপোতার বাড়িতে নিয়ে যায়। অভিযোগ আছে, সন্ধ্যার পরে সেখানে তারা সুজামণিকে প্রথমে লাঠি দিয়ে মারে, তার পরে তার গলা টিপে খুন করে। এর পরেই তারা ঠিক করে মাঝরাতে ট্যাক্সিতে করে সুজামণির দেহ চৌবাগার কাছে লকগেটে ফেলে আসবে।
ইউএইস/
Leave a reply