ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:
ভৈরবে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে নিহত আসমা বেগমের বাবা আ. রশিদ ঢালী বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় আসামি করা হয় স্বামী মোবারক মিয়া, দেবর মাহাবুব আলম ও শ্বশুর আসাদ মিয়াকে। ঘটনার পর স্বামী ও দেবর পালিয়ে গেলেও শ্বশুর আসাদ মিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
গতকাল রোববার সকালে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জে ময়নাতদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। গ্রেফতারকৃত শ্বশুর আসাদ মিয়াকে আজ সোমবার সকালে কিশোরগঞ্জ আদালতে চালান দেয়া হয়।
মামলার অভিযোগ পত্রে জানা গেছে, দুই সন্তানের জননী আসমা বেগম তার নানার বাড়ির সম্পত্তি বিক্রির ২ লাখ টাকা তার স্বামীকে এনে না দেয়ায় এ হত্যার ঘটনাটি ঘটে। গত শনিবার ঘটনার রাতে টাকা না দেয়ায় স্বামী তাকে নির্যাতন করছে এই কথাগুলি আসমা তার বাবাকে ফোনে জানিয়েছিল। তারপর এনিয়ে মধ্যরাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার সময় স্বামী মোবারক তার স্ত্রীর গলায় রশি দিয়ে হত্যা করে বলে সন্দেহ করা হয়। এরপর সে প্রচার করে তার স্ত্রী হৃদরোগে মারা গেছে। খবর পেয়ে তার বাবা ঢাকা থেকে ভৈরব এসে মেয়ের লাশ দেখে সন্দেহ করে তাকে গলায় রশি বেঁধে হত্যা করা হয়েছে। পরে পুলিশকে খবর দিলে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়।
ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহিন জানান, আসমার মৃত্যুর ঘটনায় তার বাবা আসাদ মিয়া স্বামীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করে। নিহতের গলায় ও হাতে একাধিক দাগ পাওয়া গেছে। লাশ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
ইউএইস/
Leave a reply