টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কে পুলিশের গুলিতে নিহত মেজর (অব.) সিনহা রাশেদের সহকর্মী সিফাত ও শিপ্রার জব্দ করা মালামাল তদন্তের স্বার্থে কক্সবাজারের রামু থানা পুলিশের কাছ থেকে বুঝে নিয়েছে র্যাবের তদন্ত দলের প্রতিনিধিরা।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার পর এসব মালামাল বুঝে নিতে র্যাবের প্রতিনিধি দল রামু থানায় যায়।
র্যাব-১৫ এর টেকনাফ ক্যাম্প কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিমান চন্দ্র কর্মকার বলেন, আমরা পুলিশের কাছ থেকে যাবতীয় মালামাল বুঝে নিয়েছি।
রামু থানার ওসি আবুল খায়ের বলেন, র্যাবের দলটি আসার পর আমরা এসব জব্দকৃত মালামাল আদালতের আদেশ অনুযায়ী তাদের হাতে বুঝিয়ে দেই।
এরআগে, ১৯ আগস্ট (বুধবার) র্যাবের এক আবেদনের প্রেক্ষিতে এ সংক্রান্ত আদেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ এর বেঞ্চ।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই (শুক্রবার) রাত সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কে একটি প্রামাণ্যচিত্রের শুটিং শেষে ফেরার পথে পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ নিহত হন। এসময় তার সাথে থাকা সহযোগী সিফাত ও পরবর্তীতে রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে তার আরেক সহযোগী শিপ্রা দেবনাথকে আটক করে পুলিশ।
এরপর তাদের কাছে থাকা ল্যাপটপ, ক্যামেরাসহ যাবতীয় মালামাল জব্দ করে পুলিশ। সেইসাথে তাদেরকে অভিযুক্ত করে হত্যাচেষ্টা ও মাদকের মামলা দায়ের করে পুলিশ।
এঘটনার পর পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ উঠলে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন নিহত মেজর (অব.) সিনহার বোন। পরবর্তীতে এই মামলার তদন্তভার র্যাবের কাছে দেয় আদালত।
Leave a reply