চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় প্রতিবন্ধী আব্বাস উদ্দীন (৪২) কে হাত-পা বেঁধে পিটিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে ওই ব্যক্তিকে পেটানো হয়। নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ নির্যাতনকারী দুইজনকে গ্রেফতার করেছে।
এ ঘটনায় প্রতিবন্ধীর বড় ভাই রিয়াজুল হক বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- আলমডাঙ্গা উপজেলার ছত্রপাড়া গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলীর ছেলে নাসির উদ্দীন ওরফে রাশিদুল ও হাফিজুর রহমানের ছেলে জামাল উদ্দীন।
পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্র জানায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার ডাউকী ইউনিয়নের ছত্রপাড়া গ্রামের আব্দুল কাদেরের প্রতিবন্ধী ছেলে (প্রতিবন্ধী কার্ড নং -১৯৭৮১৮১০৭৩১০০০৯১১-০৬) আব্বাস উদ্দীনকে গত ১২ আগস্ট বিকেলে এলাকার পাঁচ বছরের এক শিশুকে যৌন নির্যাতেনর অভিযোগে কিছু ব্যক্তি বাড়ির ভেতর থেকে টেনে-হিচড়ে নিয়ে যায়। প্রথমে হাত-পা বেঁধে নির্মমভাবে পেটানো হয়। পরে গাছের সাথে বেঁধে নৃশংসভাবে পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। পরে প্রতিবন্ধীর বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। বর্তমানে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিবন্ধী আব্বাস উদ্দীন জেলহাজতে রয়েছেন।
এদিকে ঘটনার আটদিন পর আব্বাস উদ্দীনের ১৪ বছরের ছেলে আবীর হাসান তার বাবার নির্যাতনের একটি ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। ভিডিওতে দেখা যায়, আব্বাস উদ্দীনকে কয়েকজন গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করছে। নির্যাতনের বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের নজরে আসলে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের সহযোগিতায় প্রতিবন্ধীর বড় ভাই বাদী হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, আব্বাস উদ্দীনের বিরুদ্ধে পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে কয়েকদিন আগে মামলা হয়েছে। নির্যাতনের ঘটনায়ও পৃথক আরেকটি মামলা আমরা গ্রহণ করেছি।
Leave a reply