সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর দিন ঠিক কী ঘটেছিল? অভিনেতাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে পুলিশের অপেক্ষা না করেই কেনো দেহ নামানো হয়েছিল? আর কে-ই বা সেই নকল চাবিওয়ালাকে ডেকে এনেছিল? এমন একাধিক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে এই মুহূর্তে। এতদিনকার খবর অনুযায়ী, অভিনেতার বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানিই প্রথমে সুশান্তকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন। অতঃপর তাকে ঘিরে বহু প্রশ্ন উঠেছে। এবার সেই নকল চাবিওয়ালার বয়ান আরও শোরগোল ফেলে দিল। খবর সংবাদ প্রতিদিনের।
খবরে বলা হয়, ‘ভিতর থেকে কোনো আওয়াজ এলেই লক ভাঙা বন্ধ করে দিও’, এমনটাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাকে। কে দিয়েছিলেন সেই নির্দেশ? এবার সেই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুললেন চাবিওয়ালা। তার বক্তব্য, ১৪ জুন বেলা ১টা নাগাদ তার কাছে ফোন আসে। কে ফোন করেছিলেন, তখন নাম জানতেন না তিনি। তবে এখন যেহেতু সংবাদমাধ্যমে বারবার উঠে আসছে সেই ব্যক্তির নাম, তাই তিনি জানতে পেরেছেন।
চাবিওয়ালা জানিয়েছেন, ‘ওর নাম সিদ্ধার্থ পিঠানি। উনি আমায় লকের ছবি পাঠিয়েছিলেন। তারপরই আমি সেখানে যাই। কম্পিউটারাইজড লক ছিল বলে, খুলতে ১ ঘণ্টা সময় লেগে যেত। তাই আমাকে লক ভাঙতে বলা হল। ঘরের মধ্যে থেকে কোনো আওয়াজ এলে যেন সঙ্গে সঙ্গে কাজ বন্ধ করে দিই সেকথা বলা হয়েছিল। চাবি ভাঙার সঙ্গে সঙ্গে দরজার হ্যান্ডেলে হাত দিতেই আমাকে বলল- তুমি এবার যাও। ঘরের ভিতরে আমাকে তাকাতেও দেওয়া হয়নি। তখন অবশ্য আমি জানতাম না এটা সুশান্ত সিং রাজপুতের বাড়ি। আমায় ২০০০ টাকা দেওয়া হলে আমি চলে আসি।’
কুপার হাসপাতালে কার অনুমতি নিয়ে গিয়েছিলেন রিয়া চক্রবর্তী? গতকালই ভাইরাল এক ভিডিও ঘিরে সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন সুশান্তের পরিবারের আইনজীবী। যে অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, প্রেমিকা হিসেবে তিনি নাকি শেষবারের মতো সরি বলতে গিয়েছিলেন সুশান্তকে। তবে, ঘনিষ্ঠজনের কাছে রিয়ার এই মন্তব্যে চিঁড়ে ভেজেনি! যার সুবাদেই এবার কুপার হাসপাতালের ৫ চিকিৎসককে সিবিআই জেরা করবে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, অভিনেতার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়েও কিন্তু কম জলঘোলা হয়নি। এবার সেসব যাবতীয় অভিযোগ নিয়েই ভারতের কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দাদের মুখোমুখি হতে চলেছে ওই ৫ চিকিৎসক, যারা সুশান্তের ময়নাতদন্ত করেছিলেন।
খবরে আরও বলা হয়, সুশান্তের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে সিবিআই টিমের মনে। আর তার জেরেই আরও একবার তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এইমস হাসপাতালের এক বিশেষ দলকে। ৫ সদস্যের এই দলটির মাথায় রয়েছেন অভিজ্ঞ ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ সুধীর গুপ্ত। শিনা বোরা ও সুনন্দা পুষ্করের মতো হাই প্রোফাইল মামলার ময়নাতদন্তও হয়েছে তারই নেতৃত্বে।
অন্যদিকে, জানা গিয়েছে শুক্রবার সুশান্তের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে সিবিআই গোয়েন্দারা যাওয়ার আগেই মুম্বাই পুলিশের ২ অফিসার সেখানে গিয়েছিলেন। যদিও সংবাদমাধ্যমের কাছে তারা মুখ খোলেননি, তবে জানা গিয়েছে সিবিআই টিমকে সাহায্য করার জন্যই ফ্ল্যাটে ঢুকেছিলেন তারা।
ইউএইস/
Leave a reply