গাজীপুর প্রতিনিধি:
টঙ্গীর রেল সেতুর ডগস্পাইয়ের (লোহার পিন) পরিবর্তে অনেক স্লিপারের সঙ্গে আটকানো হয়েছে কাঠ ও বাঁশের খুঁটি দিয়ে। সরে যায় বলে স্লিপারে বাঁধা হয়েছে লোহার তার।
বেশিরভাগ স্লিপার পঁচে গেছে। একইসাথে মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে গেছে বেশিরভাগ ডগস্পাই। ট্রেন এলে নড়বড় করে স্লিপার। থরথর করে কাঁপে রেল, ফিশপ্লেট ও নাট-বল্টু। এমন বেহাল দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তুরাগ নদের ওপর টঙ্গীর দুই রেল সেতুর।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগের দায়িত্বহীনতা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে সেতু দু’টি। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।
সরেজমিনে দেখা যায়, লোহার পিন ও ফিশপ্লেটে মরিচা ধরে ক্ষয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। পঁচে ঝুরঝুর করছে অনেক স্লিপার। বহু স্লিপারে ডগস্পাই নেই। অনেক স্লিপারে ডগস্পাইয়ের পরিবর্তে রেল আটকানো হয়েছে বাঁশের খুঁটি দিয়ে। সেগুলোও রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে।
ডগস্পাই যেগুলো আছে, সেগুলোর বেশিরভাগের মাথা মরিচায় ক্ষয় হতে হতে নেই বললেই চলে। নড়বড়ে স্লিপার বেঁধে রাখা হয়েছে লোহার তার দিয়ে। ট্রেন সেতুর ওপর উঠলে ওঠানামা করে রেল।
রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী একজন নির্বাহী প্রকৌশলীর মাসে একবার, সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলীর কমপক্ষে মাসে চারবার এবং ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী, রেল খালাসি ও মিস্ত্রিদের প্রতিদিন রেলপথ পরিদর্শনের কথা রয়েছে।
টঙ্গীর রেল স্টেশনে গিয়ে কাউকে না পেয়ে ফোনে কথা হয় টঙ্গীর ঊধ্বর্তন উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোজাম্মেল হোসেনের সাথে। তিনি জানান, এটা ঢাকার অংশে পড়েছে। এটা আমার আওতাভুক্ত না। এসময় তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলেও এড়িয়ে যান।
সম্প্রতি মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় জরাজীর্ণ রেল সেতু ভেঙে ট্রেন দুর্ঘটনায় পাঁচ যাত্রীর মৃত্যুর পর আলোচনায় আসে রেলপথ ও সেতুর দুরবস্থার চিত্র। রাজধানী ঢাকার কাছে পুরো দেশের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগের অন্যতম এই দুই সেতুর এমন বেহালে আতঙ্কিত স্থানীয় লোকজন।
Leave a reply