শরীরে অস্ত্র ঠেকিয়ে তিনটি গুলি করা হয় সিনহা রাশেদকে। সুরতহালের সময় ও পরে ময়না তদন্তের রিপোর্ট দেখে এবিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন তদন্তকারীরা। প্রথম গুলি হাতে করার পর, পরের দুটি একসাথে বুকের নিচে ঠেকিয়ে করা হয়। এরপরের গুলিটিও বাম কাঁধের নিচে থেকে করা হয়। এখন প্রশ্ন হলো একজন সন্দেহভাজনকে আটকাতে শরীরে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করতে হবে কেনো? তার উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।
৩১ জুলাই রাতে ঘটনার সময় প্রথম গুলির পর পরই অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার শরীরে দ্বিতীয়-তৃতীয় গুলি করেন বরখাস্ত ইন্সপেক্টর লিয়াকত। তার পেছনেই দাঁড়িয়েছিলেন সিনহা হত্যা মামলার তিন নম্বর আসামি বরখাস্ত এস আই নন্দ দুলাল।
তিনি বলেন, প্রথম তিনটি গুলি লাগার পরও কুঁজো হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মেজর সিনহা। এরপরই চতুর্থ গুলিটি করেন লিয়াকত। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সিনহা।
আসলে কী ঘটেছিলো সেদিন সে বিষয়ে তদন্ত করছেন সংশ্লিষ্টরা। মেলানোর চেষ্টা করছেন সাক্ষী, আলামত আর প্রযুক্তির মাধ্যমে। এখন প্রশ্ন হলো, সন্দেহভাজন একজনকে আটকাতে এতোগুলো গুলি কেন করতে হবে?
সুরতহাল, ময়না তদন্ত প্রতিবেদন ও এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, খুব কাছে থেকেই প্রথম গুলিটি করেন লিয়াকত। সেটি বাম হাতের বাহু ভেদ করে বেরিয়ে যায়। অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার শরীরে দ্বিতীয় ও তৃতীয় গুলিটি করা হয় শরীরে ঠেকিয়ে, একই জায়গায়, বাম পাঁজড়ের ঠিক নিচে। একই জায়গা দিয়ে ঢুকে একটি গুলি পিঠ বরাবর বেরিয়ে যায়। বুক ও পেট অতিক্রম করে আরেকটি গুলি বের হয় পেছনে কোমড়ের একটু ওপর দিয়ে।
একজনকে ধরাসায়ী করতে আরও গুলির প্রয়োজন ছিলো কী? সেই প্রশ্নও ঘুরছে। কারণ, চতুর্থ গুলিটিও করা হয় শরীরে ঠেকিয়ে। বাম কাঁধের ঠিক নিচে পিস্তল উঁচিয়ে গুলি করেছিলেন লিয়াকত। মৃত্যু নিশ্চিত করাই ছিলো যার উদ্দেশ্য।
জানা যায়, জিজ্ঞাসাবাদে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছেন আসামিরা। সিনহার শরীরের মোট সাতটি ক্ষতের মধ্যে ৭ম ক্ষতটি ছিলো গলায়। সেই গভীর ও বিস্তৃত ক্ষত-এর কারণ খুঁজছেন তদন্তকারীরা।
Leave a reply