নাকডাকা শুধু ঘুমের সময়ের সমস্যা নয়, এটি ভেতরের কোনো অসুখেরও প্রকাশ। শুধু তাই নয়, এর ফলে বিরক্তি ও ক্লান্তি দেখা দিতে পারে। বেশিরভাগ লোক বিশেষত পুরুষরা নিয়মিত ঘুমে নাক ডাকেন। দীর্ঘ ক্লান্তির পরে হালকা নাক ডাকার বিষয়টি মেনে নেয়া যায়, তবে এটি যদি প্রতিদিনের বিষয় হয় তাহলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। জোরে জোরে নাকডাকা ঘুমের ভেতর শ্বাসকষ্টের লক্ষণ হতে পারে। আশার বিষয় হলো, গবেষকরা একটি আকর্ষণীয় উপায় খুঁজে বের করেছেন, যা আপনার নাক ডাকার সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।
এই ছোট কৌশলটি মেনে চলুন:
ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজিক তথ্য সম্পর্কিত ২০১৭ সালের সমীক্ষা অনুসারে, সারাদিন বেশি দাঁড়িয়ে বা বসে থাকার সময় পা নাড়াতে থাকা আপনাকে ঘুমের সময় নাকডাকা বন্ধ করতে সহায়তা করতে পারে।
গবেষণা:
গবেষণার জন্য গবেষকরা ১৬ জনকে নিয়োগ করেছিলেন যারা নিয়মিত নাক ডাকতেন এবং সুস্থ ছিলেন। প্রথমে তারা অংশগ্রহণকারীদের পায়ের মাসলের তরল পরিমাপ করে এবং তারপরে তাদেরকে চার ঘণ্টা ধরে বসতে বলে। রাতে, তারা তাদের নাকডাকার পরিমাপ করেছিল।
দ্বিতীয় পরীক্ষায় গবেষকরা অর্ধেক অংশগ্রহণকারীকে সারাদিন ধরে বসে থাকার সময় পায়ের পেশীগুলো সক্রিয় রাখার জন্য পা নাড়াতে বলেছেন, অন্য অর্ধেককে কাজ করার সময় স্বাভাবিকভাবে বসতে বলা হয়েছিল। এক সপ্তাহ পরে, তারা দুটি দলকে পরস্পরের সঙ্গে অদল-বদল করেছে এবং একই ক্রিয়াকলাপ চালিয়েছে। এই সমস্ত সময়, গবেষকরা স্বেচ্ছাসেবীদের নাকডাকার অভ্যাসের নিবিড় নজর রাখে।
শেষ পর্যন্ত, দেখা গেছে যে, অংশগ্রহণকারীর মধ্যে যারা সারাদিন পা নাড়িয়েছিলেন তারা পা না নাড়িয়ে বসে থাকাদের তুলনায় রাতে খুব কম নাক ডেকেছিলেন।
কখন ডাক্তারের সাথে দেখা করতে হবে:
হালকা নাক ডাকা স্বাভাবিক। যদি এটি আরও খারাপ হয়ে যায় তবে আপনার অবিলম্বে চিকিৎসা সহায়তা নেয়া উচিত। আপনি যদি সকালে ঘুম থেকে উঠতে না পারেন, অত্যন্ত ক্লান্ত বোধ করেন বা জোরে নাক ডাকেন তবে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা ভালো।
Leave a reply