মানবপাচারকারি চক্রের মূল হোতা প্রতীক খন্দকার ওরফে মহেমুনুজ্জামানকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিটের অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ রেজাউল হায়দার।
তিনি বলেন, মানবপাচারের এ চক্রের মূলহোতা প্রতীককে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে গ্রেফতার হওয়া দুই আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
রাজধানীর সবুজবাগ থানা এলাকার একটি বাসায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে একটি ফ্ল্যাটে সাবলেট হিসেবে ভাড়া ওঠেন প্রতীক খন্দকার ও জান্নাতুল ওরফে জেরিন। ওই ফ্ল্যাটে থাকা এক নারীকে ভালো চাকরি দিয়ে মালয়েশিয়া পাঠাবে বলে প্ররোচিত করতেন তারা।
একপর্যায়ে ভুক্তভোগী ওই নারীকে প্রতীক ও জেরিন পাচারকারী চক্রের অন্য সদস্যদের মাধ্যমে বেনাপোল সীমান্তের একটি বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে ভুক্তভোগী ওই নারীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়। এরপর ভুক্তভোগীকে ভারতে একটি দালাল চক্রের কাছে বিক্রির উদ্দেশে পাচার করার সময় পুলিশ ওই ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করে এবং পাচারকারী চক্রের অন্য এক সদস্যকে আটক করে। এ সময় মানবপাচারকারী চক্রের মূলহোতা প্রতীক পালিয়ে যায়।
২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বরে এ ঘটনাটি ঘটে। সবুজবাগ থানায় ভুক্তভোগী ওই নারীর পরিবারের করা মামলায় প্রতারক জেরিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে টানা এক বছর অনুসন্ধানের পর ভারতে নারী বিক্রির জন্য মারবপাচার চক্রের মূলহোতা পলাতক আসামি মহেনুমুজ্জামান ওরফে প্রতীক খন্দকার ওরফে বাবুকে (২৬) গ্রেফতার করে সিআইডি।
এ ঘটনায় জড়িত আরও ২ জনকে আসামি করে আদালতে গ্রেরণ করা হয়েছে। চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Leave a reply