ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় একমাত্র আসামি মজনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক মোসাম্মৎ কামরুন্নাহারের আদালতে এই শুনানি হয়। এর আগে, গত ১৬ আগস্ট মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আজ ২৬ আগস্ট শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।
করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আসামিকে কারাগারে রেখেই মামলাটির ভার্চুয়াল শুনানি শুরু হয়। এ সময় বিচারক আসামিকে মোবাইলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ে শুনান। আসামি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেন। মজনুর পক্ষে কোন আইনজীবী না থাকায় আদালতের নির্দেশে লিগ্যাল এইড থেকে তার পক্ষে আইনজীবী নিযোগ করা হবে।
মজনুকে একমাত্র আসামি করে গত ১৬ মার্চ ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। ওই দিনই আদালত মামলাটি পরবর্তী বিচারের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের আদেশ দেন।
গত ৫ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে রওনা দেন ওই ছাত্রী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি রাজধানীর কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে বাস থেকে নামেন। এরপর একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে সড়কের পাশে নির্জন ঝোপে নিয়ে যায়। সেখানে ধর্ষণের পাশাপাশি তাকে নির্যাতনও করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। ধর্ষণের একপর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
রাত ১০টার দিকে একটি নির্জন জায়গায় নিজেকে আবিষ্কার করেন ওই ছাত্রী। পরে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে যান। রাত ১২টার দিকে ওই ছাত্রীকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করান তার সহপাঠীরা।
৬ জানুয়ারি রাতে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা দায়ের করেন। প্রাথমিক তদন্ত ও অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে রাতেই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় মামলাটি তালিকাভুক্ত করে থানা কর্তৃপক্ষ।
পরে ৮ জানুয়ারি মজনুকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। মজনুকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তিনি ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন বলে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এরপর ১৬ জানুয়ারি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে ধর্ষণের দায় স্বীকার করেন মজনু।
Leave a reply