সন্তানকে বাঁচাতে আরেক শিশুর কিডনি চুরির চেষ্টা!

|

কুড়িগ্রামে এক শিশু অপহরণের ১৮ দিন পর পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে শিশুটির পরিবার। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।

শিশুটি উদ্ধারের পর বাবা মা এখন অভিযোগ করছেন, ওই পুলিশ কর্মকর্তা নিজের ছেলের নষ্ট কিডনি প্রতিস্থাপন করতেই দরিদ্র শিশু আরজিনাকে অপহরণ করিয়েছিলেন।

গত ৬ অগাস্ট কুড়িগ্রামের উলিপুর থেকে অপহৃত হয় প্রথম শ্রেণির ছাত্রী আরজিনা। ১২ দিন পর ১৮ অগাস্ট রংপুর শহরের মুন্সিপাড়ায় এক পুলিশ কর্মকর্তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় তাকে। মেয়েটি জানায়, তাকে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল।

পরিবারের অভিযোগ, এসআই আবু বক্করের ছেলের দু’টি কিডনিই নষ্ট। অপহরণের পর আরজিনার কিডনি নেয়ার চেষ্টা করে এই পুলিশ কর্মকর্তার পরিবার। যে চিকিৎসককে অপারেশনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, অপহরণের বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনিই আরজিনাকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করেন।

পুলিশ কর্মকর্তার বোন আয়েশা ও ভাই সাহেব বাবু অপহরণে জড়িত ছিল। আবু বক্করের স্ত্রী, ভাই ও বোনের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে আরজিনার পরিবার।

এ বিষয়ে উলিপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল সাইদ জানিয়েছেন, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তবে পুলিশ কর্মকর্তা আবু বক্কর পুরো ঘটনাকে অস্বীকার করে বলেছেন, এটি তার বিরুদ্ধে ওই চিকিৎসকের ষড়যন্ত্র।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, অপহরণের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন উলিপুরের ধরনীবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান। আরজিনা উদ্ধারের পর থেকে তার কোন সন্ধান মিলছে না।

/কিউএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply