২০১৯-২০ মৌসুমের শুরু থেকেই বার্সার সাথে মেসির সম্পর্কটা ভালো যাচ্ছিল না। নিজের সিদ্ধান্তে বোর্ড কর্তাদের হস্তক্ষেপ মেসিকে ন্যু ক্যাম্পের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে বাধ্য করে। তাই একাধিকবার গুঞ্জন ওঠে, বার্সা ছাড়বেন মেসি।
তবে বারবারই মেসির বার্সা ছাড়ার গুঞ্জনকে গুজব বলে উড়িয়ে দেন ক্লাবটির প্রেসিডেন্ট জোসেফ মারিয়া বার্তোমেউ। তবে এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। শিরোপাহীন একটা মৌসুম পার করার পর ক্লাব থেকে ঘোষণা আসে বড় পরিবর্তনের। এরই ধারাবাহিকতায় বরখাস্ত হন কোচ সেতিয়েন। তার স্থলাভিষিক্ত করা হয় নেদারল্যান্ডের সাবেক ফুটবলার রোনাল্ড কোম্যানকে।
সবার ধারনা ছিলো নতুন কোচ পেয়ে হয়তো ক্লাবের সাথে সব মান-অভিমান ভুলে যাবেন মেসি। দুঃখের স্মৃতি ভুলে হয়তো পূর্ণ উদ্যমে শুরু করবেন নতুন মৌসুম। কিন্তু বাস্তবে যা হলো, তা কখনোই চায়নি বার্সার ভক্ত-সমর্থকরা।
দায়িত্ব নেওয়ার ষষ্ঠ দিনের মাথায় বার্সা অধিনায়কের সাথে আলোচনায় বসেন কোম্যান। সেখানে মেসিকে আগের মতো সুবিধা দিবেন না বলে জানান বার্সার সাবেক ফুটবলার। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম দেপোর্তিভো কুয়াত্রোর লিখেছে, মেসিকে কোম্যান বলেন, ‘বার্সেলোনায় তুমি আগে যেসব সুবিধা পেতে, এখন সেসব পাবে না। তোমাকে দলের জন্য সবকিছুই করতে হবে। আমি এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেব না। সব সময় তোমাকে ক্লাব নিয়েই ভাবতে হবে।’
মূলত কোম্যানের সাথে আলোচনার পরই একটি ব্যুরোফ্যাক্স বার্তায় বার্সা ছাড়ার ঘোষণা দেন মেসি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনার জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস।
তবে প্রিয় ফুটবলারের বিদায়ের ঘোষণা মেনে নিতে পারেননি ভক্ত-সমর্থকরা। মঙ্গলবার মেসির সংবাদ সম্মেলনের পরই ‘থেকে যাও মেসি’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে ন্যু ক্যাম্পের বাইরে একত্রিত হয় তারা।
ইউএইচ/
Leave a reply