করোনাকালে রফতানি খাতের লক্ষ্য অর্জনে সরকার পোশাক খাতের পাশাপাশি চামড়াজাত পণ্য, ওষুধ, পাট শিল্পে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। পণ্য বহুমুখীকরণে নেয়া হচ্ছে নানা উদ্যোগ। পোশাকের পাশাপাশি চলছে চামড়া, ওষুধ ও পাট শিল্পের নতুন বাজার অনুসন্ধান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলছেন, মহামারির পর বিশ্ববাজারে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করতে, পণ্য বহুমুখিকরণের বিকল্প নেই।
তবে ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, চলতি অর্থবছরে, রফতানি আয়ে ২১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন হবে বেশ চ্যালেঞ্জিং।
অর্থবছর শেষে খানিকটা উন্নতি হলেও সদ্য বিদায়ী ২০১৯-২০ অর্থবছরের রফতানি আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কমেছে ২৫ ভাগ। রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য বলছে, ৪৫ দশমিক ৫ বিলিয়নের বিপরীতে আয় ছিল ৩৩ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার।
করোনার দুর্যোগের মধ্যে পোশাক কারখানাগুলো খানিকটা রফতানি আদেশে বেড়েছে । পোশাক মালিকরা বলছেন, এখনও ৩০ থেকে ৪০ ভাগ উৎপাদন ক্ষমতা কাজে আসছে না রফতানি আদেশ না থাকায়। তারপরও চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৮ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার। এরমধ্যে সেবাখাতে ধরা হয়েছে ৭ বিলিয়ন ডলার।
পোশাক রফতানিকারক ও বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থবছরের শুরু থেকে নতুন বাজার অনুসন্ধানসহ প্রয়োজনীয়। উদ্যোগ না কঠিন হবে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হবে।
বাংলাদেশের মোট রফতানির ৮৫ ভাগই আসে পোশাকখাত থেকে। যদিও বিশ্ববাজারে ১৫০ পোশাক পণ্যের ম্যধে মাত্র ৬/৭ টি বেসিক পণ্য প্রস্তুত করে বাংলাদেশ।
Leave a reply