সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িতদের পুনর্বাসন, শাস্তি ও সমাজের মূল স্রোতে নিয়ে আসার ব্যবস্থা সংক্রান্ত জাতিসংঘে ইন্দোনেশিয়ার আনা এক প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর ডয়েচে ভেলে’র।
নিরাপত্তা পরিষদে ১৪টি ভোটের ১৩টি ভোটই প্রস্তাবের পক্ষে ছিল। শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর কারণে প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে যায়।
জাতিসংঘে মার্কিন দূত কেলি ক্রাফট বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়া সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা চালু করা নিয়ে যে প্রস্তাব এনেছে, সেটা খুবই খারাপ। এটা কোনো প্রস্তাবই নয়।’
যুক্তরাষ্ট্রের মতে, এর মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ বাদ চলে গেছে। সেটা হলো আইএস গোষ্ঠীর বিদেশি যোদ্ধা ও তাদের পরিবারের পুনর্বাসনের বিষয়টি।
ক্রাফট বলেন, আইএস জঙ্গিদের তাদের নিজ দেশে পুনর্বাসনের বিষয়টি বাদ পরেছে। আইএসের বিদেশি যোদ্ধাদের তাদের দেশে শাস্তি দিতে হবে এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
কিন্তু ইউরোপের দেশগুলি মনে কর নিজেদের দেশে ওই সব জঙ্গিদের ওপর সাধারণ নাগরিকরা হামলা করতে পারে। ফলে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন না। তাছাড়া ইরাক বা সিরিয়ায় তারা যে অপরাধ করেছেন, তার প্রমাণ জোগাড় করাও মুশকিল।
জঙ্গিদের পরিবার সম্পর্কে সেই প্রস্তাবে বলা হয়, আইএস জঙ্গিদের সন্তানরা তাদের নিজেদের দেশে ফিরতে পারবেন। তবে প্রতিটি মামলা খতিয়ে দেখে তারপরই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
মূলত সিরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে আইএস জঙ্গিদের হটিয়ে সেখানকার নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুর্দি সশস্ত্র গোষ্ঠী সিরিয়ান ডিফেনসিভ ফোর্স(এসডিএফ)। দেশটির উত্তর পূর্বের এলাকায় হাজার হাজার বিদেশি যোদ্ধাকে আটক করেছে। বড় বড় শিবিরে অভিযুক্ত জঙ্গিদের স্ত্রী ও বাচ্চাদের রাখা হয়েছে।
ওই সব শিবিরের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘ বলছে, বিদেশি যোদ্ধা ও তাদের পরিবার নিয়ে যত তাড়াতাড়ি প্রস্তাব নেয়া যাবে তত ভালো। তাতে জঙ্গি কার্যকলাপ বাড়ার সম্ভাবনাও কমবে।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাবটি পাশ না হওয়ায় ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়েছে। তাদের মতে এই প্রস্তাব বিদেশি আইএস যোদ্ধাদের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করতো।
Leave a reply