হাসপাতালের খরচ দিতে না পারায় গরীব মা-বাবার কাছ থেকে সন্তান ছিনিয়ে নিয়ে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে খোদ ডাক্তারের বিরুদ্ধে। এই লজ্জাজনক ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের আগ্রা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। খবর এইটিনের।
খবরে বলা হয়, আগ্রা নাকি প্রেমের শহর! আর সেখানেই অতি লজ্জাজনক ঘটনা ঘটে গেলো। শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে সন্তান জন্ম দেন এক গরীব দম্পতি। সন্তান জন্মানোর জন্য ৩৫ হাজার টাকা ধার্য করেছিল বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নবজাতকের জন্মের পর তাদের কাছে যখন টাকা দাবি করা হয় তখন তাদের টাকা দেওয়ার ক্ষমতা ছিলো না। এরপরেই ঘটে সেই লজ্জাজনক ঘটনা।
খবরে আরও বলা হয়, সদ্য প্রসব হওয়া সন্তানের মায়ের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় বাচ্চাটিকে।
তারপর চিকিৎসকরা তাদের দিয়ে কাগজে টিপ সই করিয়ে নেয়। সন্তানের মা হাতে-পায়ে ধরে কান্নাকাটি করতে থাকে। মহিলার স্বামীও অনেকভাবেই বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু চিকিৎসক অনড় ছিলেন টাকা দিতে না পারলে বাচ্চা দিয়ে দিতে হবে। তাদের কাছ থেকে বাচ্চা নিয়ে অবশ্য তাদেরকে ৭০ হাজার টাকা দিয়ে দেয়। এরপর চিকিৎসক বাচ্চাটিকে এক লক্ষ টাকায় বিক্রি করে দেয় চিকিৎসকরা।
জানা যায়, ওই নারীর স্বামীর নাম শিব নারায়ণ। সে আগ্রার শম্ভু নগরের বাসিন্দা। তার স্বামী পেশায় একজন রিকশা চালক। ২৪ অগাস্ট তার স্ত্রীর প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। স্ত্রী ববিতাকে নিয়ে কাছের জেপি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করেন। সেখানেই ববিতা এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। সেই সময় রিকশা চালকের কাছে মাত্র ৫০০ টাকা ছিলো। কিন্তু বিল হয় ৩৫ হাজার টাকা।
খবর জানাজানি হওয়ার পর ভারতের স্বাস্থ্য বিভাগের একটি দল হাসপাতালে রেড করে। ভারতের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান জানিয়েছেন, অনিয়ম প্রমাণিত হলে হাসপাতাল সিল করে দেওয়া হবে। নবজাতককে বিক্রির ঘটনায় তদন্তে নেমেছে ভারতের পুলিশ।
ইউএইচ/
Leave a reply