সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই, তবুও এক মাসে তিনবার বদলি!

|

রাসেল আহমেদ, ঢাকা:

দেশে করোনা সংক্রমণের পর বেশ কিছু কমিটি করা হয়। তথ্য ব্যবস্থাপনা ও গণযোগাযোগ কমিটির সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয় ডা. হাবিবুর রহমানকে। আর সদস্য সচিব করা হয় সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তারকে। সে অনুযায়ী গণমাধমে সরব উপস্থিতি ছিল আয়শা আক্তারের। নতুন মহাপরিচালক আসলেও কমিটিতে তেমন কোন পরিবর্তন আসেনি। আগের মহাপরিচালকের সহযোগীরাও আছেন বহাল তবিয়তে। বরং গণমাধ্যমে কথা বলায় আসে নিষেধাজ্ঞা।

এরমধ্যে সাবেক পরিচালক বেলাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক আদেশে তথ্য ব্যবস্থাপনা থেকে সরিয়ে দেয়া হয় আয়শা আক্তারকে। ২১ দিন পর অব্যাহতি দেয়া হয় কন্টোল রুমের দায়িত্ব থেকে। এর ছয়দিন পর এনসিডিসি থেকে আবারও বদলি করা হয় শ্যামলী টিবি হাসপাতালে। অর্থাৎ, এক মাসের ব্যবধানে তিনবার বদলি করা হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এই সহকারী পরিচালককে। এতে অনেকটাই ভেঙে পড়েছেন তিনি।

মুঠোফোনে তিনি বলেন, ‌’সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে আমাকে যেখানে দেয়া হবে সেখানেই কাজ করব। তবুও কোন কারণ ছাড়া বারবার বদলি করায় আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। কেন আমাকেই বদলি করা হচ্ছে তাও জানি না।’

সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ ছাড়াই এমন রদবদলকে ভালোভাবে নিচ্ছেন না স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) নেতারা। তারা বলছেন, কমকর্তাদের রদবদল হতেই পারে। তবে এক মাসে তিনবার পরিবর্তনের বিষয়টি স্বাভাবিক নয়। এমন ঘটনা নানা প্রশ্নের জন্ম দেয়।

এমন কাজের জন্য মন্ত্রণালয়কে দায়ী করলেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব ডা. এম এ আজিজ। বলেন, ‘একমাসে তিনবার বদলি করা যুক্তিযুক্ত না। আমি বলব বদলির প্রক্রিয়া ঠিক হয়নি। আমার মনে হয় মন্ত্রণালয়ের কোথাও কোন সমস্যা আছে, যার কারণে বারবার বদলি করা হচ্ছে।’

সাধারণত রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে চিকিৎসকদের রদবদল করে মন্ত্রণালয়। তবে অধিদফতরের সুপারিশেও বদলির নজির রয়েছে। অন্যদিকে, নানা অভিযোগ মাথায় নিয়েও বহাল তবিয়তে আছেন অনেকেই। স্বাস্থ্য সচিব অবশ্য বলছেন, কোনো অভিযোগের ভিত্তিতে নয়; বদলি করা হয়েছে প্রচলিত নিয়মে।

মুঠোফোনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল মান্নান বলেন, ‘সবসময় শুধু অভিযোগ কেন থাকতে হবে! সে ভালো কাজ করে, যোগ্যতা আছে, পরিচিতি আছে এজন্যও বদলি করা হতে পারে।’ তবে বিস্তারিত জানার জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply