নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্যাসের লিকেজ থেকে হতাহতের ঘটনা ঘটে থাকলে এবং তিতাসের কোনো গাফিলতি বা অবহেলা থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী মো. আল মামুন। শনিবার সকালে বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এসময় তিতাস গ্যাসের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করার কথা জানানো হয়। কমিটিকে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে অর্ধশতাধিক মুসল্লি দগ্ধ হন। বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ যে ৩৭ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছিল তাদের মধ্যে শিশু-মুয়াজ্জিনসহ আরও ১১ জন মারা গেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালটি সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন। গতকাল রাত ১১ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জুয়েল নামে ৭ বছরের এক শিশু মারা যাওয়ায় এখন পর্যন্ত মোট ১২ জনের মৃত্যু হলো।
এদিকে গ্যাস থেকেই এ বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিনি।
দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিনি জানান, মসজিদের তল দিয়ে গ্যাসের একটি পাইপ রয়েছে। ওই পাইপের লিকেজ দিয়ে মসজিদের ভেতরে গ্যাস জমে যায়। এর মধ্যে এসি চলার কারণে মসজিদের ভেতরে সবগুলো জানালা ও দরজা টাইট করে বন্ধ ছিল। ফলে নির্গত গ্যাস বের হতে পারেনি। আর এ কারণেই বিস্ফোরণ হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের ওই কর্মকর্তা বলেন, আমরা ধারণা করে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে তারা দ্রুত এখানে এসে আমাদের ধারণাকে নিশ্চিত করে। তারা জানান, গ্যাসের লাইন থেকেই এই বিস্ফোরণ হয়েছে।
Leave a reply