সোনারগাঁওয়ে এনজিও কর্মকর্তাকে গলা কেটে হত্যা

|

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি :

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ঋণের কিস্তির টাকা আদায় করতে গিয়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মো. সাজেদুর রহমান (৩৬) নামের এক এনজিও কর্মকর্তা খুন হয়েছেন। পুলিশের দাবি, তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। রোববার দুপুরে উপজেলার বারদী ইউনিয়নের মিস্ত্রীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

সোনারগাঁও থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ক্রাইম সিনের সদস্যরা বিকেলে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে লাশ প্রেরণ করেছেন। ঘটনার পরপরই বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছেন। ঘটনার পর ওই এলাকায় উৎসুক জনতা ভিড় করছে। নিহত সাজেদুর রহমান টাঙ্গাইল জেলার সদর উপজেলার মীরপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বারদী ইউনিয়নের মিস্ত্রীপাড়া এলাকার শামসুদ্দিনের ছেলে হান্নানের স্ত্রী শারমিন আক্তার ব্যুরো বাংলাদেশ নামের একটি এনজিও বারদী শাখা থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। এ থেকে প্রতি সপ্তাহে ১২৫০ টাকা করে ঋণ পরিশোধ করে শারমিন আক্তার। এছাড়াও ওই বাড়িতে আরও কয়েকজন গ্রাহক রয়েছে। রোববার দুপুরে ওই কিস্তির টাকা আদায় করতে ব্যুরো বাংলাদেশ এনজিওর প্রোগ্রাম অর্গানাইজার মো. সাজেদুর রহমান হান্নানের বাড়ি যান। পরে হান্নানের ঘরে তার গলাকাটা লাশ দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। সোনারগাঁও থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম ও পরিদর্শক তদন্ত শরীফ আহমেদ ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্রাইমসিনের সদস্যদের খবর দিলে বিকেলে তারা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

ব্যুরো বাংলাদেশের বারদী শাখার হিসাব রক্ষক মামুন অর রশিদ বলেন, সাজেদুর রহমান বেলা ১২টার দিকে একটি কেন্দ্রের টাকা উত্তোলন করে অফিসে জমা দিয়ে দুপুরে সোয়া ১টায় এই কেন্দ্রের টাকা তুলতে যান। এখানে এসে তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। তবে গ্রাহকরা নিয়মিতভাবেই কিস্তি পরিশোধ করছেন। তার কাছে কোনো নগদ টাকা ছিলো না। কি কারণে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটলো বিষয়টি তদন্তের দাবি করছি।

তবে অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, ব্যুরো বাংলাদেশ নামক এনজিওর মাঠ কর্মকর্তা সাজেদুর রহমান কিস্তির টাকা আদায় করার জন্য উপজেলার মিস্ত্রীপাড়া গ্রামের সামসুদ্দিনের বাড়িতে গেলে সামসুদ্দিনের পুত্র আব্দুল হান্নান (২৮) এর সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আব্দুল হান্নান ও তার সহযোগীরা এনজিওর কর্মকর্তা সাজেদুর রহমানকে ধরে ঘরে নিয়ে যায় এবং জবাই করে হত্যা করে।

সোনারগাঁও থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, কি কারণে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বিষয়টি তদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply