বার্সেলোনায় মেসির থাকা না থাকা নিয়ে জল তো কম গড়ালো না। শেষ পর্যন্ত ইচ্ছের বিরুদ্ধেই ন্যু ক্যাম্পে থেকে যাওয়ার কথা জানালেন আর্জেন্টাইন জাদুকর। এরপরই করান কোভিড-১৯ পরীক্ষা। সোমবার অনুশীলনেও ফিরলেন তিনি। তবে, বিধি অনুযায়ী নিভৃতেই অনুশীলন সারতে হবে লিওকে। ম্যানেজমেন্টের সাথে দ্বন্দ্বের কারণে অনিচ্ছায় বার্সাতে থাকলেও মেসি জানিয়েছিলেন দলের প্রতি নিবেদনে এতটুকু ঘাটতি হবে না তার। সে প্রমাণই দিলেন আজ। নির্ধারিত সময়ে দেড় ঘণ্টা আগেই পৌঁছে গেছেন মাঠে। তখনও ন্যু ক্যাম্পে অন্যকোনো খেলোয়াড় পৌঁছেনি।
এর আগে, চুক্তির কোটা পূরণ করতে আগামী মৌসুম বার্সেলোনায় থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান এলএম টেন। শুক্রবার গোল ডটকমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ২০২০-২১ মৌসুমে বার্সেলোনায় থাকার বিষয়টি নিজেই জানান মেসি। তবে ইচ্ছের বিরুদ্ধেই যে কাম্প ন্যু-তে থাকতে যাচ্ছেন, তা তার কথাই স্পষ্ট হয়েছে।
এলএম টেন বলেন, আমি ভেবেছিলাম এবং নিশ্চিত ছিলাম যে ইচ্ছে করলেই ক্লাব ছাড়তে পারি। সভাপতি সবসময় বলত, মৌসুম শেষে আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারবো যে আমি থাকব না চলে যাব।
বেশ কিছুদিন ধরেই ক্লাব সভাপতির বিভিন্ন সিদ্ধান্তে নাখোশ ছিলেন মেসি। সবশেষ নতুন কোচ রোনাল্ড কোম্যান দলে আমূল পরিবর্তনের কথা বলেন। তার পরিকল্পনায় না থাকার কারণে বার্সা ছাড়তে হচ্ছে মেসির ঘনিষ্ঠ লুইস সুয়ারেজকে। মেসিও নাকি মূল একাদশে অনিবার্য নন!
এর জেরে ক্লাব ছাড়ার ঘোষণা দেন লিও। কিন্তু বাধ সাধেন বার্সেলোনা সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ। মেসির বাবা হোর্হে মেসি ফ্রি ট্রান্সফারের প্রস্তাব তুলে ধরেন বার্সেলোনার কাছে। সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। উচ্চমূল্য দিয়েই ক্লাব ছাড়তে হতো লিওকে। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়াতে পারতো, কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রিয় ক্লাবের বিপক্ষে আদালতে যেতে চাননি মেসি। আজ ফিরলেন অনুশীলনে।
Leave a reply