আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) রোহিঙ্গাদের উপর হত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ স্বীকার করেছেন মিয়ানমারের দুই সেনাসদস্য।
নেদারল্যান্ডের হেগে আইসিসি’র প্রসিকিউশন টিমের কাছে এসব অভিযোগ স্বীকার করেন দেশটির সেনা সদস্য প্রাইভেট মেও উইন তুন ও প্রাইভেট জাও নাইং তুন। তারা দুইজন সরাসরি ১৮০ জন রোহিঙ্গাকে হত্যার করার কথা জানিয়েছেন।
এই দু’জন সৈনিকই ২০১৬ ও ১৭-তে মায়ানমান সেনাবাহিনীর পদাতিক ডিভিশনের সৈনিক হিসেবে রাখাইনে সেনাবাহিনী পরিচালিত ‘অপারেশন ক্লিয়ারেন্স’-এ অংশগ্রহণ করে রোহিঙ্গাদের উপর অত্যাচার, হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে।
এসময় মেও উইন তুন ২০১৭ সালে রাখাইন প্রদেশের তুঙ বাজারে রোহিঙ্গা নারী পুরুষ ও শিশুদের হত্যা করে তাদের মৃতদেহ আগুনে পুড়ানো এবং রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করেন। এছাড়াও রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে চালানো অন্যান্য অপরাধের ব্যাপারেও স্বীকৃতি দেন।
সেইসাথে তারা এইসব হত্যা,ধর্ষণ ও অন্যায়ের সাথে জড়িত আরও ১৯ জন সেনা সদস্যের নাম স্বীকার করে। যার মধ্যে ছয়জন কমান্ডার পর্যায়ের কর্মকর্তা, যারা এসব কর্মকাণ্ডে সরাসরি নির্দেশ দেন।
তারা আরও জানায়, সেনা কর্মকর্তারা তাদের চোখের সামনে যে রোহিঙ্গাকে পাবে তাকেই গুলি করে হত্যার নির্দেশ দেয়।
Leave a reply