বছর দু’য়েক আগে হলিউড, বলিউড তোলপাড় করে শুরু হয়েছিল ‘মি টু’ আন্দোলন। তার রেশ ফিরিয়ে পরিচালক সাজিদ খানের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ আনলেন ভারতীয় মডেল পাওলা। নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে পাওলা জানিয়েছেন, ১৭ বছর বয়সে তার সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছিলেন ফারহা খানের ভাই। ‘হাউসফুল’ সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ দেওয়ার বদলে নগ্ন হতে বলেছিলেন পরিচালক। তাকে জোর করে ছোঁয়ারও চেষ্টা করেছিলেন তিনি।
https://www.instagram.com/p/CE6l9OyD4SP/?utm_source=ig_web_copy_link
২০১৮ সালে সারা বিশ্বের বিনোদন জগৎ তোলপাড় করেছিল ‘মি টু’ আন্দোলন। তার জেরেই এখন শ্রীঘরে হলিউডের প্রযোজক হার্ভে ওয়েনস্টাইন। মুম্বাইয়ে ‘মি টু’ আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছিল তনুশ্রী দত্তের অভিযোগকে কেন্দ্র করে। নানা পাটেকারের বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ এনেছিলেন অভিনেত্রী। এরপরই একের পর এক নিগ্রহের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল।
তখনো অভিযুক্তদের তালিকায় ছিলেন সাজিদ খান। বলিউড পরিচালকের বিরুদ্ধে একাধিক মহিলা নিগ্রহের অভিযোগ এনেছিলেন। মন্দানা করিমি, সালোনি চোপড়া, রাচেল হোয়াইট থেকে শুরু করে জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ পর্যন্ত সাজিদের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন। ঘনিষ্ঠ মহলে সাজিদকে নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন অক্ষয় কুমার, বিপাশা বসুর মতো তারকারা। ফলস্বরূপ ‘হাউসফুল ৪’ ছবির পরিচালনার দায়িত্ব ছাড়তে হয়েছিল সাজিদকে। তার বদলে ছবিটি পরিচালনা করেন ফারহাদ শামজি।
ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সাজিদকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। এখন প্রশ্ন, সেই সময় কেন মুখ খোলেননি পাওলা?
এই প্রশ্নের উত্তরও নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে দিয়েছেন পাওলা। জানিয়েছেন, তার কোনো গডফাদার ছিল না। আর মা-বাবার দায়িত্ব কাঁধে ছিল। তাদের জন্য রোজগার করতে হতো। এখন নিজের জন্য রোজগার করেন পাওলা। তাই কাজ হারানোর ভয় আর এখন নেই তার। তবে সত্যি কথা সামনে আনার তাগিদ রয়েছে। যাতে সাজিদের মতো মানুষদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া যায়। সেই কারণেই এত দিন পর মুখ খুলেছেন ভারতীয় মডেল।
Leave a reply