ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রবিউল নামের আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। উদ্ধার করা হয়েছে হামলায় ব্যবহৃত হাতুড়ি ও মই। রবিউল উপজেলা পরিষদের মালি হিসেবে কর্মরত ছিলো।
শনিবার বিকেলে দিনাজপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, রবিউলের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ঘোড়াঘাট উপজেলা চত্বরের একটি পুকুর থেকে হামলায় ব্যবহৃত হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়। পাওয়া যায় মইটিও।
গ্রেফতারকৃত রবিউল উপজেলা দপ্তরে মালি হিসেবে কর্মরত ছিল। তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রবিউলকে আদালতে তোলা হবে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
এছাড়া, হামলা মামলার প্রধান আসামি আসাদুলকে আর কিছুক্ষণের মধ্যে আদালতে তোলা হবে। তবে তার বিরুদ্ধে আর রিমান্ড আবেদন করা হবে না বলেও জানানো হয়। ৭ দিনের রিমান্ড শেষে দিনের যেকোনো সময় দিনাজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হবে আসাদুলকে।
গতকাল দুই আসামি নবীরুল ও সান্টুকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এদিন ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলামকে গতকাল প্রত্যাহার করা হয়েছে। সংযুক্ত করা হয়েছে পুলিশ লাইনসে। তার জায়গায় বদলি করা হয়েছে রংপুর সদর থানার পরিদর্শক আজিম উদ্দিনকে।
Leave a reply