আট দিন বন্ধ থাকার পর মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার দুই দিনের মাথায় আবার ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। নাব্যতা সংকট ও তীব্র স্রোত ফেরি চলাচলের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে ফেরি চলাচল শুরু হওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
সমস্যা সমাধানে লৌহজং চ্যানেলে ৩-৪টি ড্রেজার খননকাজ চালাচ্ছে। দুইটি ড্রেজার দুইদিনের মধ্যে পূর্ব পাশের ২৫০ মিটার এলাকা ড্রেজিং করেছে। এখণ শুধু ২০০ মিটার এলাকাজুড়ে পলি অপসারণ বাকি আছে। আগামী দুইদিনে যদি ১৫০ মিটার এলাকাও ড্রেজিং করে খনন করা হয় তাহলেও ফেরি চলতে পারবে বলে বিআইডাব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডাব্লিউটিএ ড্রেজিং বিভাগ বলছে, পদ্মাসেতুর ড্রেজিং কার্যক্রমের অগ্রগতি ভালো না। অন্যদিকে, বর্ষা শুরুর আগে পদ্মাসেতু কর্তৃপক্ষ চ্যানেলের অদূরে একটি বাধ তৈরি করায় সেই জায়গায় স্রোতের তীব্রতাও বেড়েছে। দিনের বেশিরভাগ সময় পদ্মাসেতুর একটি ড্রেজার সাদা পানি বের করছে। এরফলে পলি অপসারণ ঠিকমতো হচ্ছে না।
জানা গেছে, লৌহজং চ্যানেলে জরুরি ভিত্তিতে দেড় লাখ ঘনমিটার পলি অপসারণ করা হয়েছে। পদ্মাসেতুর পিলারের কাছেও পলি অপসারণ করা হয়েছে ২০ হাজার ঘনমিটার। এ বছর ৩৩ লাখ ঘনমিটারের মধ্যে ৬ লাখ ৪০ হাজার মিটার পলি অপসারণ হয়ছে।
চালকরা জানান, অনেকদিন ধরে ঘাট পারের অপেক্ষায় থাকাতে গিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অনেকদিন ধরে অর্থসংকট ও খাদ্য সংকটের কারণে কষ্ট করে দিনযাপন করতে হচ্ছে। ড্রেজিং কার্যক্রম নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
Leave a reply