ফ্রান্সের ফুটবলের ঐতিহ্যবাহী লড়াই পিএসজি ও অলিম্পিক মার্শেইয়ের। কিন্তু রোববার রাতে এই ম্যাচকে ফুটবল না বলে রেসলিং ম্যাচ বলাটা মোটেও বাড়াবাড়ি হবে না।
এই ম্যাচে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে পিএসজির একাদশে ফেরেন নেইমার ও ডি মারিয়া। আক্রমণাত্নক পিএসজিকে রুখতে শুরু থেকেই শারীরিক ফুটবলের কৌশল বেছে নেয় মার্শেই।
মার খেয়ে বসের থাকার মতো সুবোধ বালকও নয় নেইমাররা। তাই নিজেদের গায়ের জোর দেখিয়েছে পিএসজির ফুটবলাররাও। ফল হিসেবে প্রথমার্ধে মার্শেইয়ের তিন আর পিএসজির দুই ফুটবলার হলুদ কার্ডের দেখা পান। আর পুরো ম্যাচে মোট ১৭টি কার্ড দেখান রেফরি জেরোম ব্রিসেট।
নেইমারদের মনোসংযোগ হরণ করে ম্যাচে জয় পাওয়ার কৌশলে সাফল্য পায় মার্শেই। ৩১ মিনিটে সেট পিস থেকে ফ্লোরেন তুভানের গোলে লিড নেয় দলটি। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বাড়ায় পিএসজি। কিন্তু সাফল্য আসেনি। বাঁধার দেয়াল হয়ে দাঁড়ান মার্শেই গোলরক্ষক মানডেনডা। মার্শেইয়ের ডেরায় ৮ বার আক্রমণ চালিয়েও সাফল্য পায়নি নেইমার, ডি মারিয়ারা।
ম্যাচের ইনজুরি সময়ে হঠাৎ বিবাদে জড়ায় দুই দলের ফুটবলাররা। কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে তা হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়।
এই ঘটনায় নেইমারসহ দুই দলের ৫ ফুটবলারকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। মাঠ ছাড়ার সময় ফোর্থ অফিশিয়ালের কাছে নেইমার অভিযোগ করেন বর্ণবাদী মন্তব্য করেছে মার্শেইয়ের ফুটবলাররা।
Leave a reply