ইংল্যান্ডের লিভারপুরের বাসিন্দা বছর আটত্রিশের কেট কানিংহাম সম্প্রতি তার বিবাহবার্ষিকী পালন করলেন। যদিও বিবাহিত যে কেউ এই অনুষ্ঠান করতে পরেন। তবে কেটের বিষয়টি খবরে উঠে এসেছে তার ‘স্বামী’র কারণে। কারণ তার ‘স্বামী’ আর পাঁচ জনের মতো কোনও মানুষ নন, তিনি একটি এলডার গাছ। তবে এর পিছনে তার গভীর চিন্তাভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কেট। কেটের এক বয়ফ্রেন্ড ও দুই সন্তান রয়েছে। খবর- আনন্দবাজার পত্রিকা।
কেটের এই ‘গাছ-স্বামী’-র বাসস্থান সেফটনের রিমরোজ ভ্যালি কান্ট্রি পার্কে। আসলে এই পার্কের গাছ কেটে এখান দিয়ে একটি বাইপাস তৈরির পরিকল্পনা হচ্ছে। সেখানকার বাসিন্দারা চাইছেন না, রাস্তা তৈরির জন্য এই পার্ক ধ্বংস হয়ে যাক। তাই তারা নানান ভাবে আন্দোলন করেছেন। আর সেই আন্দোলনকে এক কদম এগিয়ে নিয়ে গিয়ে পার্কের একটি এলডার গাছকে বিয়ে করে নিয়েছেন কেট। শুধু বিয়ে করাই নয়, নিজের পদবি পরিবর্তন করে কেট ‘এলডার’ করে নিয়েছেন তিনি। তবে গাছকে বিয়ে করার এই পরিকল্পনা তার মাথায় আসে মেক্সিকোর এক মহিলার কথা জানতে পারার পর। সবুজ বাঁচানোর লড়াইয়ের সৈনিক সেই মহিলাও একটি গাছকে বিয়ে করেছিলেন।
Geçtiğimiz yıl bir ağaçla evlenen 38 yaşındaki Kate Cunningham 1'inci evlilik yıl dönümünü kutlamış. Ağaçla evlenmenin öz güvenini artırdığını söyleyen Kate, "kendimi öncesine göre daha güçlü ve daha iyi biri olarak görüyorum" demiş. Nice mutlu yıllara o halde. pic.twitter.com/dDSSDkAE72
— biacaip (@biacaipcom) September 14, 2020
কেট জানিয়েছেন, যদিও তার বছর পনেরোর বড় ছেলে মায়ের এই বৈবাহিক সম্পর্ক নিয়ে কিছুটা বিব্রত বোধ করে। তবে কেট নিজের সিদ্ধান্তের জন্য গর্বিত বলে জানিয়েছেন। ছেলেও একদিন এই বিয়ের মাহাত্ম্য বুঝতে পারবে বলে তার আশা।
কেট দিনে পাঁচ বার তার স্বামীকে দেখতে যান ওই পার্কে। তার আশা, এই ‘বিয়ে’ সবুজ বাঁচানোর আন্দোলনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। এখন গোটা বিশ্ব জুড়ে আন্দোলন গড়ে তোলার সময় হয়েছে বলে দাবি করেছেন কেট। তিনি বলেন, এই পৃথিবী খুব সুন্দর একে নষ্ট হতে দেওয়া উচিত নয়। সম্প্রতি তার পরিবার পরিজন নিয়ে বিবাহবার্ষিকী পালনের কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে।
https://twitter.com/DeLordEmperor/status/1305158322186747904?s=20
Leave a reply