যৌতুকের মামলায় সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নাজমুস সাকিবের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার-৬ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন এ আদেশ দেন। এছাড়া নাজমুস সাকিবের বাবা সফিউল্লাহ তালুকদার ও মা খালেদা সুলতানাকে জামিন দেন একই বিচারক।
ওই আদালতের পেশকার সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, মা-বাবাসহ নাজমুস সাকিব আইনজীবীর মাধ্যমে গতকাল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক নাজমুস সাকিবকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এর আগে গত ১৮ আগস্ট বাবা-মাসহ এএসপি নাজমুস সাকিবকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন দেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহ পর তাদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা গতকাল আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ জুন রাতে রমনা থানায় এএসপি নাজমুস সাকিবসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার স্ত্রী। মামলার অভিযোগ করা হয়, ২০১৭ সালের মার্চে নাজমুস সাকিবের (৩৪) সঙ্গে
তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর মো. সফিউল্লাহ তালুকদার (৬০), শাশুড়ি খালেদা সুলতানা (৫২) তাদের যৌতুকলোভী এবং অত্যাচারী মনোভাব প্রকাশ করতে থাকেন। আসামিরা বিভিন্ন সময় বাদির বাবার কাছ থেকে নগদ টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। টাকা দিতে না পারায় আসামিরা বাদিকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। নির্যাতনের ভয়ে বাদি তার বাবার কাছ থেকে প্রায়ই নগদ টাকা এনে আসামিদের দিতেন।
আরও অভিযোগ করা হয়, ওই সময় বাদি গর্ভবতী হলে তার ওপর আসামিদের নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। তারা তালাকের ভয় দেখিয়ে গর্ভপাত করানোর জন্য চাপ দিতে থাকেন। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে নাজমুস সাকিব তালাকের ভয় দেখিয়ে বাদিনীকে গর্ভপাত করান।
ইউএইচ/
Leave a reply