নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জের বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় তিতাস গ্যাসে সাময়িক বহিষ্কৃত ৪ প্রকৌশলীসহ ৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আলম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তারা হলেন, তিতাসের ফতুল্লা অঞ্চলের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম, উপ ব্যবস্থাপক মাহামুদুর রহমান রাব্বী, সহকারী প্রকৌশলী এসএম হাসান শাহরিয়ার, সহকারী প্রকৌশলী মানিক মিয়া, সিনিয়র সুপারভাইজার মো. মুনিবুর রহমান চৌধুরী, সিনিয়র উন্নয়নকারী মো. আইউব আলী, হেল্পার মো. হানিফ মিয়া ও কর্মচারী মো. ইসমাইল প্রধান।
শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গ্রেফতারকৃত আসামিদের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) পুলিশ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আলমের আদালতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে প্রেরণ করা হয়। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষ পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর রবিউল আলম আদালতকে বলেন তল্লা মসজিদের বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩২ জন মারা গিয়েছেন। বিষয়টি বাংলাদেশের আলোচিত ঘটনা। গ্রেফতারকৃত আসামিদের অবহেলার কারণেই তিতাস গ্যাসের লাইনের লিকেজ থেকে গ্যাস নির্গত হয় বিদ্যুতের লাইন পরিবর্তনের সময় স্পার্ক হয়ে আগুনের সূত্রপাতে বিস্ফোরণ ঘটে। এ কারণে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। তাই রিমান্ড মঞ্জুরের জন্য আবেদন জানান।
অপরদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হাসান জানান, আসামিরা কেউ ছয় মাস, সাত মাস, কেউ বা তারও কম সময় ধরে নারায়ণগঞ্জে কর্তব্যরত রয়েছেন। মসজিদে বিস্ফোরণের সাথে তার সম্পৃক্ততা নেই। এ কারণে তারা রিমান্ডের বিরোধিতা করে আসামিদের জামিন প্রার্থনা করেন। তবে আদালত দুই পক্ষের শুনানি শেষে ৪ প্রকৌশলীসহ ৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, গত ৪ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৯টায় সদর উপজেলার পশ্চিম তল্লা এলাকায় বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও শিশুসহ ৩৯ জন দগ্ধ হয়। তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা প্লাস্টিক সার্জারি ও বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
ইউএইচ/
Leave a reply